|
|
|
|
বাসকর্মীদের মারধর |
প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ ময়নায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার অন্যায় আবদার মানা হয়নি। সেই রাগে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার অন্নপূর্ণা বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাসকর্মীদের মারধর করেছিলেন কয়েকজন কলেজ ছাত্র। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ময়না থেকে মেদিনীপুর, ঘাটাল-সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিলেন বাসকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অন্নপূর্ণা বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ময়না-ঘাটাল রুটের একটি বাসে উঠেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা কলেজের পাঁচ ছাত্র। তাঁরা বাস ভাড়ায় ছাড় চাইলেও কন্ডাক্টর দিতে রাজি হননি। এই নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রদের সঙ্গে কনডাক্টরের বচসা বাধে। শেষমেশ পুরো ভাড়া দিতে বাধ্য হন ওই ছাত্রেরা। রাগটা অবশ্য পুষেই রেখেছিলেন তাঁরা। বুধবারই সন্ধ্যায় বাসটি যখন ফিরছিল ময়নায়, তখন অন্নপূর্ণা বাজার বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় কিছু লোকজনকে নিয়ে পথ আটকে দাঁড়ান তাঁরা। বাসের চালক তাপস ভৌমিক, কন্ডাক্টর মেঘনাদ বেরা, খালাসি বিনোদ বেরা ও দেবব্রত দাসকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করেন ওই ছাত্র ও তাঁদের সঙ্গীরা। বাসের চালক তাপস ভৌমিক বলেন, “একদল লোক জোর করে আমাদের বাস আটকে টেনে-হিঁচড়ে নামায়। এরপর সহকর্মীদের ব্যাপক মারধর করে ওরা। কন্ডাক্টরের টাকার ব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নেয়। সহকর্মী বিনোদ বেরার পায়ের আঘাত গুরুতর।” পিংলার জলচকের বাসিন্দা বিনোদবাবুকে পিংলারই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরই বাসকর্মীরা ময়না থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ততক্ষণে অবশ্য অভিযুক্তরা পালিয়ে গিয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ময়না থেকে সমস্ত রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাসকর্মীরা। মেদিনীপুর, ঘাটাল, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, কেশপুর, ট্যাবাগেড়া প্রভৃতি রুটের ২৪টি বাস না-চলায় নিত্যযাত্রী-সহ সাধারণ বাসিন্দারা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন।
কংগ্রেস প্রভাবিত পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের ময়না শাখার সভাপতি সন্দীপ সামন্তের অভিযোগ, “অন্যায় আবদার না মানায় বাসকর্মীদের উপর পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বাসকর্মীদের আক্রমণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি আমরা।” তমলুকের এসডিপিও পারিজাত বিশ্বাস বলেন , ‘‘আলোচনার মাধ্যমে বাস চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।” |
|
|
|
|
|