জোকার মানেই হাসি-ঠাট্টা, নির্মল আনন্দের আধারভাবাটা সব সময় বোধহয় উচিত নয়। অন্তত সেই জোকার টেনিস কোর্টের জোকার হলে। নেটের উল্টো দিকে ডেভিড ফেরার সেটা এ দিন হাড়ে-হাড়ে বুঝলেন। নোভাক জকোভিচপেশাদার টেনিস সার্কিটের ‘জোকার’ গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনাল ম্যাচ সাঙ্গ করে দিলেন মাত্র ৮৯ মিনিটে। এমনই ভয়ঙ্কর ফর্মে ছিলেন আজ রড লেভার এরিনায়। যে আগুনে ফেরার পুড়ে ছারখার হয়ে গেলেন ৬-২, ৬-২, ৬-১। তিনটে সেটের মেয়াদ যথাক্রমে ২৯, ৩৪, ২৬ মিনিট। ৩০টা উইনার মারেন জকোভিচ। নিজের ১১টা সার্ভিস গেমে সব মিলিয়ে মাত্র ৭টা পয়েন্ট হারান। অস্ট্রেলীয় ওপেন এ রকম চূড়ান্ত একপেশে সেমিফাইনাল শেষ বার দেখেছিল ১৯৯০-এ। দুই সুইড সুপারস্টারের লড়াইয়ে এডবার্গ গোটা ম্যাচে মাত্র চারটে গেম নষ্ট করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভিল্যান্ডারকে। |
টেনিসের ওপেন যুগে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে অস্ট্রেলীয় ওপেন খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিকের ঐতিহাসিক সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে জকোভিচ। তাঁর আর রেকর্ডের মাঝে দাঁড়িয়ে একটা ম্যাচ। আরও পরিষ্কার করে বললে, রজার ফেডেরার অথবা অ্যান্ডি মারে। কিন্তু ফাইনালে পা দিয়ে আজই বিশ্বের এক নম্বর জকোভিচ হুঙ্কার দিয়েছেন, “জীবনের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলে ফাইনালে উঠলাম। পরের আটচল্লিশ ঘণ্টা এই পারফরম্যান্সের কথা ভেবেই নিজেকে মোটিভেট করব ফাইনালের জন্য।” আরও বলেছেন, “সত্যিই অসাধারণ টেনিস খেলেছি সেমিফাইনালে। প্রথম পয়েন্ট থেকেই স্বচ্ছন্দ আর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ফেরার কিন্তু নাছোড় প্রতিপক্ষ। প্রতিটা পয়েন্টের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে। তবু আমি আজ ভয়ডরহীন টেনিস খেলেছি। এত ভাল পারফরম্যান্স সব সময় সব ম্যাচে করা সম্ভব নয়, জানি। তবে চেষ্টা করব এ রকমই একটা পারফরম্যান্স ফাইনালেও করতে।”
ফেডেরার, মারে কি শুনছেন?
সানিয়া, মহেশদের হার: গত পাঁচ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে ভারতীয়দের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হল এ বার অস্ট্রেলীয় ওপেনে। আজ মিক্সড ডাবলসে সানিয়া মির্জা-বব ব্রায়ান এবং মহেশ ভূপতি-নাদিয়া পেত্রোভা, দুই জুটিই কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়ায় অনেক বছর বাদে গ্র্যান্ড স্লামের কোনও বিভাগের ফাইনালেই কোনও ভারতীয়ের উপস্থিতি থাকল না। যা ডাবলস বা মিক্সড ডাবলসে প্রায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল সম্প্রতি। ত-তৃতীয় বাছাই সানিয়ারা ৫-৭, ৪-৬ হারেন হ্রাদেকা-সের্মাকের কাছে। পঞ্চম বাছাই মহেশদের ৫-৩, ৩-৬, (১৩-১১) হারান এবডেন-জার্মিলা।
|