|
|
|
|
অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৮ লক্ষ |
ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মেদিনীপুরে, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অ্যাকাউন্টে ছিল ৯ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। তুলতে চেয়েছিলেন আড়াই লক্ষ টাকা। সেই মতো চেক দেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, টাকা তোলা যাবে না। কারণ, অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৭৯ হাজার টাকা। শুনে অবাক গ্রাহক। বাকি টাকা গেল কোথায়? বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সদুত্তর মেলেনি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ঠিক কী হয়েছে, তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের স্কুলবাজারে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (ইউবিআই) ওই শাখায় বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের পরিচিতরা। দ্রুত অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। পৌঁছয় পুলিশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখারই গ্রাহক তারা শুকুল। বাড়ি পালবাড়ি এলাকায়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী তারাদেবী কয়েক মাস আগে অবসর নেন। গত ২২ ডিসেম্বর শেষ দু’লক্ষ টাকা তোলা হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপর অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৪ টাকা ছিল। ২২ জানুয়ারি তারাদেবীর ছেলে অভিজিৎ আড়াই লক্ষ টাকা তুলতে আসেন। তখনই জানতে পারেন জালিয়াতি হয়েছে। গ্রাহকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন কর্তৃপক্ষ। দেখা যায়, অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪ ডিসেম্বর ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। পুরনো চেক বই তারাদেবীর কাছেই রয়েছে। ওই দিন নতুন চেক বই ইস্যু করে টাকা তোলা হয়েছে। |
|
জালিয়াতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ব্যাঙ্কে |
অভিজিতের কথায়, “২২ ডিসেম্বরই শেষ মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। তারপর ৩১ ডিসেম্বর পেনশন বাবদ ১০ হাজার ৯০০ টাকা জমা পড়ে। এর মাঝে আর টাকা তোলা বা জমা দেওয়া হয়নি। ২৪ ডিসেম্বর ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা কে তুলল, সেটাই সন্দেহের।” তাঁর কথায়, “পুরনো চেক বই মায়ের কাছেই রয়েছে। তারমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই দিন নতুন চেক বই কী ভাবে ইস্যু করলেন, বুঝতে পারছি না। মায়ের সইও জাল করা হয়েছে। আমরা ওই পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” তারাদেবী বলেন, “আমার সই জাল করে টাকা তোলা হয়েছে। কী ভাবে তা ব্যাঙ্কের কর্মীদের নজর এড়াল, বুঝছি না।” বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ শুরু হয়। ছিলেন কাউন্সিলর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন খান প্রমুখ। তাঁদের বক্তব্য, এমন ঘটনার ফলে গ্রাহকের সমস্যার সঙ্গে ব্যাঙ্কেরও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। দুপুরে লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) সমরেন্দ্র সন্নিগ্রাহী, সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার তপোজিৎ মজুমদারের সঙ্গে তারাদেবীর পরিচিতরা আলোচনায় বসেন। ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজার তপোজিৎবাবু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমিও অন্ধকারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি। তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।” |
|
|
|
|
|