একটি শিরীষ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল সল্টলেকের ডিএল ব্লকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা আটকে বেআইনি ভাবে দীর্ঘ দিনের একটি প্রকাণ্ড শিরীষ গাছ কাটা হচ্ছিল। ব্লকের অন্যত্রও গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিক সময়ে না পৌছনোর ফলে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের সকলকে ধরা যায়নি।ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিধাননগর পূর্ব থানার এক জন সাব ইনস্পেক্টর ও কনস্টেবল যান। চার জন ধরা পড়লেও বাকি কয়েক জন পালিয়ে যায়। ধৃতেরা হল, হারান দাস, আনারুল মোল্লা, মহম্মদ মুরশেদ আলি ও মইদুল মোল্লা। ধৃতেরা বসিরহাট ও বারাসতের বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিলেন বিধায়ক তথা সল্টলেক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। তিনিই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, “আবাসিক হিসেবেই গাছ কাটার প্রতিবাদ করেছি। ধৃতদের কাছে পুরসভার লিখিত নির্দেশ ছিল না।” |
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গত কয়েকদিন শিরীষ, মেহগনি, টিক প্রমুখ মূল্যবান গাছ কাটা হয়েছে। এ দিন ধৃতেরা জানায়, তারা স্থানীয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের সুধীর সাহা ও ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক পিন্টুকুমার পালের নির্দেশেই এই কাজ করছে। সুধীর সাহা বলেন, “সৌন্দর্যায়নের কাজ ও বাসিন্দাদের দাবি মেনে ওয়ার্ডে গাছের ডালপালা ছাঁটার নির্দেশ দিয়েছি। গাছ কাটার নির্দেশ দিইনি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ধৃতেরা আমাদের নাম করছে।”
দেরিতে আসার অভিযোগ নিয়ে এক পুলিশকর্তার দাবি, পুলিশ সময়েই গিয়েছিল। কিন্তু আরও গাছ কাটার খবর পরে আসে। সে খবর পেয়ে বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। |