তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে এ বার সিবিআই তদন্ত দাবি প্রদীপের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধনেখালি |
থানায় আটক তৃণমূল কর্মী কাজি নাসিরুদ্দিনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে গত শনিবার উত্তাল হয়েছিল হুগলির ধনেখালি। সেই ঘটনায় এ বার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রদীপবাবু আব্দুল মান্নান-সহ জেলা কংগ্রেসের কয়েক জন নেতাকে নিয়ে ধনেখালির জয়রামবাটি গ্রামে নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী মানুজা বিবিকে সমবেদনা জানান। প্রদীপবাবু বলেন, “আমরা ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। শীঘ্রই নিহতের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব। জানাব রাজ্য জুড়ে কী চলছে।” কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার ধনেখালিতে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর যাওয়ার কথা।
গত শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ স্থানীয় মদনমোহনতলায় নিজের সদ্য কেনা ছোট ট্রাকের কাজ করাতে গিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন। সেখানে রাস্তার ধারে গাড়ি রাখা নিয়ে তাঁর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের বচসা বাধে। |
পুলিশ তাঁকে আটক করে। ধনেখালি থানা সূত্রে দাবি করা হয়, ওই যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশকর্মীদের মারধর করেন বলে তাঁকে আটক করা হয়। থানায় অসুস্থ বোধ করায় ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু থানার এই দাবি মানতে রাজি হননি গ্রামবাসীরা। পুলিশে মারে নাসিরুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন। শনিবার থানার একাংশে হামলা এবং পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি ও মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
ঘটনার পরই মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেন, এলাকার তৃণমূল নেতাদের একাংশের অঙ্গুলি-হেলনেই পুলিশ তাঁর স্বামীকে বিনাদোষে মারধর করে। তার পরিণতিতেই স্বামীর মৃত্যু হয়। তিনি দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তিও দাবি করেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অবশ্য আগাগোড়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় কংগ্রেসের তৎপরতা বাড়ে। এর আগে মানুজা বিবিকে সমবেদনা জানিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনিও সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।
বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবুরা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। যদিও এ নিয়ে পুলিশ সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু। সেই তদন্ত যে বেশি দূর এগোয়নি তা জেলা পুলিশের এক কর্তার কথাতেই স্পষ্ট। এ দিন তিনি বলেন, “ঘটনার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এখনও পুলিশের হাতে আসেনি। তাই তদন্তের কাজ বিশেষ এগোয়নি।” |