|
|
|
|
গর্জালেন গডকড়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিজেপি সভাপতির পদ যেতেই গর্জে উঠলেন নিতিন গডকড়ী। আয়কর দফতরের অফিসারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, কয়েক জন তাঁকে বদনাম করতে চাইছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই অফিসারদের নিস্তার নেই। তখন সনিয়া গাঁধী বা পি চিদম্বরম তাঁদের বাঁচাতে আসবেন না।
ঘরোয়া স্তরে কখনওই মেপে কথা বলেন না গডকড়ী। সে জন্য অনেকের কাছে অপ্রিয়ও হয়েছেন। কিন্তু সভাপতির পদ খোয়ানোর চব্বিশ ঘণ্টা পরেই তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া শুরু করেছেন।
বিজেপি সভাপতি পদে নির্বাচনের এক দিন আগেই গডকড়ী-ঘনিষ্ঠ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সংস্থায় হানা দেয় আয়কর দফতর। সভাপতি পদ খোয়ানোর পিছনে সেই ঘটনাই কাজ করে অনুঘটকের। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের ‘গেরুয়া-সন্ত্রাস’ মন্তব্যের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য গডকড়ী ছিলেন স্বভূমি নাগপুরে। সেখানেই তিনি তোপ দাগেন কেন্দ্র ও আয়কর অফিসারদের বিরুদ্ধে।
আয়কর দফতরের বক্তব্য, গডকড়ী-ঘনিষ্ঠ একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত সংস্থার অনেকগুলিই ভুয়ো। নাগপুর ও কলকাতা থেকেও হিসাব-বহির্ভূত অর্থ এসেছে। নাগপুরে গডকড়ী আজ বলেন, “কারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তা আমি জানি। দিন রাত তাঁরা ভেবে যাচ্ছেন, কী করে আমাকে বদনাম করা যায়। কিন্তু কংগ্রেস ডুবছে। আমরা যখন ক্ষমতায় আসব কোন সনিয়া বা চিদম্বরম তাঁদের বাঁচাবেন?”
সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত শেষ পর্যন্ত গডকড়ীকে ফের বিজেপি সভাপতি করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। সুযোগ পেলে আবার তাঁকে সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। গডকড়ীকে সে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘ নেতৃত্ব মনে করছেন, শুধু কেন্দ্র নয়, সভাপতি নির্বাচনের ঠিক আগে আয়কর হানার পিছনে কিছু বিজেপি শীর্ষ নেতার ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে।
গডকড়ী-ঘনিষ্ঠ এক নেতার বক্তব্য, কান টানলে মাথা আসে। চিদম্বরমের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গডকড়ীকে সভাপতি পদ থেকে তাড়িয়েছেন কিছু বিজেপি নেতা। চিদম্বরমকে আক্রমণ করে গডকড়ী ওই নেতাদেরও বার্তা দিতে চেয়েছেন। |
|
|
|
|
|