কড়েয়ার প্রতিবাদী যুবক আমিনুল ইসলামের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং যে-ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁর এই পরিণতি, তা নিয়ে পুলিশি তদন্তে খুশি নয় মৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এবং সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ইমতাজ আলির সঙ্গে দেখা করে পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অভিযোগ জানান আমিনুলের বাবা ইজহারুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে দুই কমিশনে গিয়েছিলেন আমিনুলের মা শাহনাজ ইজাহারও।
ইজহারুল এ দিন বলেন, “আমরা ইনসাফ চাই। আমিনুল মারা গিয়েছে প্রায় ২৪ দিন হয়ে গেল। অথচ পুলিশি তদন্তের গতি দেখে সন্দেহ হচ্ছে, মামলা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, আমিনুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং জনমতের চাপে পুলিশ যে-তদন্ত শুরু করেছে, তাতে শাহজাদা বক্সের নাম নেই। সেলিমও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা হলে পুলিশ কী করছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় নিগৃহীত হন আমিনুল। তার পরেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ দিন দুই কমিশনের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার পরে আমিনুলের পরিবারের আইনজীবী নৌসাদ হোসেন জানান, সরকার যদি আমিনুলের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআই-কে না-দেয়, তা হলে সামনের সপ্তাহে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করবেন। মানবাধিকার কমিশন আমিনুল কাণ্ডের যে-রিপোর্ট পুলিশের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছিল, তা এখনও তাঁদের
হাতে পৌঁছয়নি বলে কমিশনের চেয়ারম্যান এ দিন আমিনুলের পরিবারকে জানিয়েছেন।
আমিনুলের পরিবারের হয়ে কাজী মাসুম আখতার এ দিন আমিনুলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানদের কাছে আবেদন জানান। সেই সঙ্গে যে-নির্যাতিতা নাবালিকার হয়ে লড়তে গিয়ে আমিনুলকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান আখতার। |