ডিসেম্বরে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল বিধানসভায়। আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাঁকে ভর্তি করে চিকিৎসা করল না, তা জানতে তদন্তের দাবি জানালেন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহাকরণে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের দফতরে এই দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের ওই বিধায়ক। তিনি জানান, ৮ জানুয়ারি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। জবাব পাননি।
গৌরাঙ্গবাবু বলেন, “১১ ডিসেম্বর বিধানসভায় সরকার পক্ষের বিধায়করা আমাকে ও আমাদের দলের বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রমকে মারধর করেন। আমরা আহত হই।” অন্য বিধায়কেরা তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। গৌরাঙ্গবাবুর অভিযোগ, “একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে, স্ক্যান করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে ফের অসুস্থ হই। সেই রাতেই আমাকে ভর্তি করানো হয় একবালপুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে।” সেখানে জানানো হয়, ওই বিধায়কের খুলিতে চিড় ধরা পড়েছে। সিপিএম অভিযোগ করে, রাজ্যর চাপেই পিজি-কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে গৌরাঙ্গবাবুর চিকিৎসা করেননি। গৌরাঙ্গবাবু জানান, মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠির সঙ্গে তিনি ওই নার্সিংহোমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত কাগজও জমা দিয়েছেন। নার্সিংহোমের রিপোর্টের প্রতিলিপি-সহ দু’পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই বিধায়ক।
স্পিকারের কাছ থেকে তিনি তাঁর আগেকার চিঠির জবাব পাননি বলে গৌরাঙ্গবাবু অভিযোগ। স্পিকার বিমানবাবু এ দিন বলেন, “গৌরাঙ্গবাবু কেন এ-রকম বললেন, বুঝতে পারছি না। কোনও সদস্য লিখিত অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিই। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়ে থাকবে। ঘটনার পরে গৌরাঙ্গবাবু এবং দেবলীনাদেবীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। আমার কাছে কোনও তদন্তকারী সংস্থা নেই যে, নিজে তদন্ত করব।” স্পিকার জানান, তিনি রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গেও কথা বলেছেন। রেজ্জাক তাতে খুশি। বিমানবাবু বলেন, “সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র অভিযোগ করেন, গ্রামে ঢুকতে পারছেন না। আমি পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলি।” |