মাত্র দু’টি শিক্ষক পদের অনুমোদন দিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। তার প্রতিবাদে সোমবার থেকে বিভাগে তালা লাগিয়ে রেখেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষক ও ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদের জেরে বন্ধ পঠনপাঠনও। উপাচার্য বলেন, “ওঁরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি জানিয়েছিলাম, তালা না খুললে কোনও আলোচনা হবে না। ওঁদের বলেছি, পদ বাড়ানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই। আশা করি ওঁরা বুঝবেন।” |
পড়ুয়াদের দাবি, পড়াশোনা শেষ করার পরে চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই তাঁদের। তাই কলেজ সার্ভিস কমিশনকে নতুন শিক্ষক পদ তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ও পাবলিক ইনস্ট্রাকশন দফতরের অধিকর্তার কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেও কোনও সদুত্তর পাননি। পরে তাঁরা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজার সঙ্গে দেখা করেন। পড়ুয়াদের দাবি, পরিদর্শক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। উল্টে তাঁদের ‘ব্যাকবেঞ্চার্স’ বলেছেন। দেবকুমারবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “ আমি ওঁদের বলি, বিষয়টি আমার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এসএসটিরও অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই এই বিভাগে কম শিক্ষক নিযুক্ত হন বলে ওঁদের আমি জানিয়েছিলাম। আর কোনও কথাই হয়নি।”
পড়ুয়াদের মধ্যে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত বিষয়ীদের বক্তব্য, “ভর্তি হতে অনেক টাকা লেগেছে। অথচ পাশ করার পর আমাদের চাকরিরই কোনও নিরাপত্তা নেই। কলেজ সার্ভিস কমিশন যাতে ওই বিভাগে আরও পদ তৈরি করে ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও যাতে এই ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন, এই দাবিতে অনির্দিষ্টকালীন এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাব আমরা।” |