বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১৫ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটলেও ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যুবতীর মায়ের অভিযোগ, তাঁরা আগেই থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন কিন্তু এলাকার কিছু বাসিন্দা পরামর্শ দেন সালিশি সভায় বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। সেই প্রস্তাবে তাঁরা সায়ও দেন। সালিশি সভায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক রাসেল মুর্মু অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি হননি। তা নিয়ে টালবাহানা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলা মেয়েকে নিয়ে সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। সব খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কিন্তু অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে সারা দিনেও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি কেন? জবাবে এসডিপিও-র দাবি, “তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হবে।” এ দিন ইসলামপুরের আইসি মকসেদুর রহমান জানান, রাসেলের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরদোরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বাড়ির লোকজন ফেরার বলে পুলিশের দাবি।
এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীও। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভয়ঙ্কর ঘটনা। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার তদন্তের ব্যাপারে কোনও গাফিলতি সরকার বরদাস্ত করবে না। আমিও খোঁজখবর রাখছি। রাজ্য সরকার ওই অভিযোগকারিণীর পরিবারকে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে।”
পুলিশ জানায়, ওই যুবতী মূক ও বধির। পা দু’টি স্বাভাবিক নয়। মানসিক বিকাশও হয়নি। তাঁর বাবা নেই। তিনি তাঁর মা ও দাদার সঙ্গে থাকেন। সম্প্রতি কর্মসূত্রে তাঁর দাদা জেলার বাইরে কাজে গিয়েছেন। তাঁর মা গরু চরানোর কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি মেয়েকে রেখে গরু আনতে মাঠে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে প্রতিবেশী যুবকটি তাঁদের বাড়িতে ঢুকে যুবতীকে ধর্ষণ করে পালায়। বাড়িতে ফিরে তাঁর মা ঘটনাটি বুঝতে পেরে হইচই শুরু করে দেন। সেই সময়েই পুলিশের কাছে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার পরামর্শে তিনি সালিশিসভার প্রস্তাবে রাজি হন। পুলিশ ওই যুবতীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। |