শিশুমৃত্যু, অভিযুক্ত হাসপাতাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করলেন পরিজনেরা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বাগুইআটির বাসিন্দা অঞ্জন মজুমদার তাঁর স্ত্রীকে সল্টলেকের ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৫ জানুয়ারি তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তার পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে অঞ্জনবাবুকে তাঁর সন্তানের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।
অঞ্জনবাবু বলেন, “জন্মের পর থেকে মাত্র একবার মেয়েকে দেখতে পাই। তার পরে প্রতিবারই দরজার বাইরে থেকে দেখতে বলা হয়। অথচ অন্য শিশুদের পরিজনেদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই মেয়েকে পিজিতে ভর্তি করব। মঙ্গলবার রাতেও বাচ্চা ভাল আছে বলে আমাকে জানানো হয়। আজ সকালে মৃত্যুর খবর পেলাম। আজই ওকে পিজিতে ভর্তি করার কথা ছিল।” অঞ্জনবাবু আরও বলেন, “আমাদের সন্দেহ, আগেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। আমরা পুলিশকে ময়না-তদন্তের জন্য বলেছি।”
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বেসরকারি হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক। অপরিণত ওই শিশুটি জন্মের পর থেকেই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিল। বাড়ির লোকদেরও নিয়মিত খবরাখবর দেওয়া হত। আজ সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। আমাদের কাছে সব তথ্যই আছে। বাধ্য হয়ে তাই আমরা পুলিশকে ময়না-তদন্তের জন্য বলেছি। তা হলেই অভিযোগের সারবত্তা বোঝা যাবে।” তাঁর আরও দাবি, “অঞ্জনবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে শিশুটিকে দেখতে দেওয়া হয়েছিল। উল্টে শিশুটিকে দেখতে অঞ্জনবাবুর স্ত্রীকে অনুরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু যেখানে অন্যান্য শিশুরও চিকিৎসা চলছে, সেখানে শিশুর মা ছাড়া ঢুকতে দেওয়া যায় না।” বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। |