|
|
|
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার তিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
মঙ্গলবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি লাগোয়া জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে দুটি নাইন এমএম পিস্তল এবং সরকারি কারখানায় তৈরি চার রাউন্ড তাজা গুলি সহ ৩ দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাত দেড়টা নাগাদ তালমা এলাকায় জাতীয় সড়ক দিয়ে শিলিগুড়ি গামী একটি ছোট গাড়িকে আটকায় পুলিশের টহলদারি ভ্যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ ৫ যাত্রী ছিলেন। গাড়ি থামাতেই দুজন পালিয়ে যায়। চালক সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের থেকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যবহার করা গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গাড়ির মালিক ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। তাঁকেও জেরা করা হচ্ছে। উদ্ধার করা পিস্তল দুটি বিহারের অস্ত্র কারখানায় তৈরি বলে জেনেছে পুলিশ। যে ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সরকারি কারখানায় তৈরি উন্নতমানের বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য সরকারি কারখানার শক্তিশালী গুলি দুষ্কৃতীদের হাতে কী ভাবে পৌঁছল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “উন্নত মানের পিস্তল এবং গুলি উদ্ধার হয়েছে। জেরায় বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।” দেড় সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ৪টি সোনার দোকানে হামলা হয়েছে। একটি ক্ষেত্রে বন্দুক নিয়ে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোনোটির এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তবে ধৃতদের জেরা করে পরপর সোনার দোকান লুঠের বিষয়ে কিছু উল্লেখ্যযোগ্য তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ধৃতেরা গভীর রাতে ৩১ ডি জাতীয় সড়কের ময়নাগুড়ি থেকে ঘোষপুকুর এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে লুঠ, ছিনতাই করত বলে সন্দেহ।
মঙ্গলবার রাতে ধৃত ৩ জনেরই বয়স ২৭ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। দুজন ময়নাগুড়ির এবং অন্যজন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। গত ১২ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বেরুবাড়িতে রাতের বেলায় একটি সোনার দোকান লুঠ করে গুলি ছুঁড়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। একই কায়দায় গত ২০ জানুয়ারি রাতে ধূপগুড়ি থানার গয়েরকাটার একটি সোনার দোকানের কর্মীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠের ঘটনা ঘটেছে। পর দিন ২১ জানুয়ারি কামাখ্যাগুড়ি এলাকায় সোনার দোকান লুঠ করার সময়ে পুলিশ পৌঁছলে গুলি ছুড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার জটেশ্বরের একটি দোকানে বন্দুক নিয়ে লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। |
|
|
|
|
|