|
|
|
|
দেখা নেই আধিকারিকদের |
বচসায় চা বাগান বন্ধের আশঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বানারহাট |
মজুরি নিয়ে বচসার জেরে ডুয়ার্সের চামুর্চি চা বাগান বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান। বুধবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে কর্তৃপক্ষের কাউকে বাগানে দেখতে না পেয়ে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও বাগান বন্ধ কি না সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু জানাতে অস্বীকার করেন।
বাগান মালিকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান টি প্লেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “বাগান বন্ধ হয়েছে বলে জানা নেই। যা বলার বৃহস্পতিবার বলব।” জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “ওই বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের কিছু ঝামেলা হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কিন্তু বাগান বন্ধ হয়েছে বলে কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত কাজ করেনি অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ ৫৭ জন শ্রমিকের ১২ দিনের মধ্যে আট দিনের মজুরি দিতে চায়। ওই ঘটনা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। শ্রমিক ও ম্যানেজারের মধ্যে বচসা হয়। ইউনিয়নের নেতারা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিষয়টি মিটে যাওয়ার পরেও গভীর রাতে ম্যানেজার সহ ১০ জন সহকারী ম্যানেজার বাগান ছেড়ে চলে যান।
২০০২ সালে ডুয়ার্সের অন্যান্য কয়েকটি বাগানের মত চামুর্চি বাগান বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন ১ হাজার ৭৪ জন শ্রমিক। দীর্ঘ আট বছর বাগান বন্ধ ছিল। ওই সময় ইউনিয়ন নেতারা কাঁচা পাতা বিক্রি করে শ্রমিকদের রক্ষা করেন। শ্রমিক নেতৃত্বের অভিযোগ, নতুন মালিক ২০১০ সালে বাগান চালু করেন। শীতকালে গাছ থেকে পাতা মিলবে না। তাই শ্রমিক অসন্তোষের অভিযোগ তুলে তাঁরা বাগান ছেড়েছে। বাগানের সিটু নেতা মহম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, “সামান্য ঝামেলায় মালিক পক্ষ বাগান ছাড়বে এটা হয় না। ওঁরা পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে বিষয়টি কিছু জানায়নি।” |
|
|
|
|
|