|
|
|
|
প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণে সেনা-স্কুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কেউ হাঁটতে পারে না। কারও কথা স্পষ্ট নয়। কেউ কানে শোনে না। অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তবুও তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ প্রবল। সে আগ্রহকে হাতিয়ার করে রোশনি, সুজাতা, আমন, বিনীতাদের নিয়ে স্কুল তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। শিলিগুড়ির কাছে ব্যংডুবিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পাসে আশা কিরণ সেন্টার নামে ওই স্কুলটি চলছে। শিক্ষার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সহ একাধিক সুবিধে দিয়ে সেখানে চলছে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসাও। বুধবার সেনাবাহিনীর ৩৩ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে সুরেন্দ্রনাথ ওই শিশুদের জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। অত্যাধুনিক ওই গাড়িতে করেই স্কুল থেকে বাড়িতে যাতায়াত করবে শিশুরা। সেনাবাহিনীর ৩৩ কোরের মেডর জেনারেল অশোক কুমার সেন জানান, শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা খরচ করে গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। স্কুলে আপাতত ৩৬ জন শিশু রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তান। বাকি ৯ জন সেনাবাহিনীর পরিবারের। সকাল ৯টার সময় সবাইকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে স্কুলে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তার পরেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানে ছবি আঁকা, হাতের কাজ শেখানো, অক্ষর চেনানোর পাশাপাশি যোগ ব্যয়াম এবং মিউজিকের ক্লাস করানো হয়। প্রয়োজনে শিশুদের ফিজিওথেরাপি করানো হয়। অশোকবাবু বলেন, “সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীর একটা প্রধান কাজ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এখানে প্রতিবন্ধী স্কুল তৈরি করা হয়েছে। স্কুলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শিশুদের বাড়ি পৌঁছনো সমস্ত কিছুই করা হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও খরচ আমাদের দিতে হয় না। সাধারণ মানুষের অনেকেই আমাদের স্কুল চালাতে সহায়তা করেন। আমরা এই স্কুলের পরিকাঠামো আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি।” স্কুলের এক শিক্ষিকা সুজাতা ইন্দিবর বলেন, “ওঁদের খুব কষ্ট। তার পরেও ওঁরা শিখতে চায়। কিছু করতে চায়। আমরা যতটা পারি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করি। এই প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।” |
|
|
|
|
|