|
|
|
|
সব সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন সমীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শাসকদলের নেতাদের কাছে অপমানের পরেও চরম পদক্ষেপের কথা ভাবেননি তিনি। কিন্তু প্রকাশ্য জনসভায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘আক্রমণ’ করার পরে এ বার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যাবতীয় ‘সংস্রব-ছিন্ন’ করার সিদ্ধান্ত নিলেন চিত্রশিল্পী সমীর আইচ।
বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কমিটিতে সমীরকে যুক্ত করেছিল তৃণমূল সরকার। সমীর মঙ্গলবারই রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সভাপতি পদে ইস্তফা দেন। বুধবার আর্ট কলেজের কমিটি থেকেও ইস্তফা দেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ঐতিহ্য ও সংরক্ষণ-সংক্রান্ত কমিটি ও কলকাতা পুরসভার রাস্তা নামকরণ কমিটি ও হেরিটেজ কমিশন থেকেও সরে এসেছেন।
কেন? পদত্যাগ ‘ব্যক্তিগত কারণে’ বলে দাবি করলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে সমীর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারকেই এর জন্য দায়ী করেছেন। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় আমার নাম করে যা বলেছেন, তাতে শালীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর পরে সরকারি কিছুতে থাকা আমার জন্য সম্মানজনক হত না।” ক্যানিংয়ের জনসভায় সমীর-প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “মোমবাতি হাতে একদিন মিছিলে হাঁটলেই পরিবর্তনপন্থী হওয়া যায় না।”
বাম আমলে ‘পরিবর্তনপন্থী’ বলে চিহ্নিত সমীর ক্রমশ তৃণমূল-শিবিরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “একবার পরিবর্তন চেয়েছি বলে ভবিষ্যতে পরিবর্তন চাইব না, এমন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মাথায় রাখুন, বাংলার মানুষ ভবিষ্যতে ফের পরিবর্তন চাইতেই পারেন!” সম্প্রতি প্রতিবাদী যুবা আমিনুল ইসলামের অপমৃত্যুর পরেই রাজপথে নেমেছিলেন সমীর। তার পরেই বার্নপুর-উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে সংগঠকদের তোপের মুখে পড়েন সমীর। আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম ছাপা থাকলেও তাঁকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়নি।
প্রতিবাদ করার জন্য শাসক দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এনে মামলা করতে পারেন বলেও আশঙ্কায় সমীর। তাঁর আফশোস, “পরিবর্তনের আগে যে অমায়িক মানুষটিকে চিনতাম, পরিবর্তনের পরে তাঁকে মেলাতে পারছি না!” এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর আর্জি, “আমার সঙ্গে যা-ই ঘটে থাকুক, বাংলার মানুষ আপনার কাছে এখনও অন্য রকম দৃষ্টিভঙ্গি আশা করেন।” |
|
|
|
|
|