স্কুলের সেরা ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করেই নেতাজির ১১৭ তম জন্মদিন পালন করল বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ভগবানপুরের নির্বাসনা বিদ্যামন্দির। ২০০৪ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভগবানপুরে এই নির্বাসনা বিদ্যামন্দির গড়ে তোলে। বর্তমানে এই স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন চার জন। স্কুল অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ নামে ওই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্ন সরখেল বলেন, “রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের থেকে একটু আলাদা ভাবে এই স্কুলকে আমরা গড়তে চেয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মনের বিকাশ ঘটানো ও তাদের মনকে বাসনা মুক্ত করা। |
আজি শুভদিনে...। নেতাজির জন্মদিন পালন করছে ছাতনার
ভগবানপুরের নির্বাসনা বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়ারা। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
তাই এই স্কুলের নাম নির্বাসনা বিদ্যামন্দির।” তিনি জানান, স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা খেলাধুলোকেও পড়াশোনার মতো সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রত্যেক শ্রেণিতেই প্রথম দু’টি পিরিয়ডের পরে আধ ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম পিরিয়ড থাকে। সেখানে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে শুইয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপরে প্রথম শ্রেণি থেকেই জোর দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্রেও নানা বৈচিত্র থাকে। হিমঘ্নবাবুর কথায়, “পড়ুয়াদের একধাপ এগিয়ে রাখতেই প্রথম শ্রেণি থেকে ইংরেজির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন বানাই, যাতে উত্তর দিতে গেলে ছেলেমেয়েদের বুদ্ধি খাটাতে হয়। যেমন বানান উল্টে দেওয়া, শূন্যস্থান পূরণ ইত্যাদি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ মান্না জানান, ছাত্রছাত্রীদের নিয়মানুবর্তিতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপরেও তাঁরা জোর দেন। প্রকৃত মানুষ গড়াই তাঁদের লক্ষ্য। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভগবানপুরে স্কুল গড়ার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি ক্ষেত্রে চাষের নানান পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে। এ দিন স্কুল প্রাঙ্গণে নেতাজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। প্রতিটি ক্লাসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। উপস্থিতি যে-সব পড়ুয়ার বেশি, পুরস্কার পেয়েছে তারাও। |