পুলিশের হেনস্থা, প্রতিবাদ শিক্ষকের
ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুললেন এক স্কুল শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। উল্টে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। ভগবানপুর থানার মির্জাপুর গ্রামে বাবা-মাকে দেখে কলকাতায় ফিরছিলেন নিউটাউনের স্কুল শিক্ষক নয়ন মাইতি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। তখন ওই পথে যাচ্ছিল তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে যাতায়াতের সূত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশেষ নিরাপত্তা পেয়েছেন শুভেন্দু। সাংসদের নিজস্ব গাড়ি ছাড়াও পুলিশের দু’টি গাড়ি থাকে কনভয়ে। এ দিন বিকেলে দিঘা -মেচেদা সড়ক ধরে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ চণ্ডীপুর বাজারের কাছে সাংসদের যাত্রাপথে যানজটে আটকে পড়ে নয়নবাবুদের গাড়ি। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, “সামনে একটি মোটর সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকায় আমাদের গাড়িটি আটকে পড়ে। হঠাৎই একজন ট্রাফিক পুলিশ পিছন থেকে মোটর সাইকেলে এসে আমাদের গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এতে নতুন গাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” নয়নবাবু ট্রাফিক পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ করেন। তখন তাঁকে চণ্ডীপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নয়নবাবুর অভিযোগ, “থানায় গেলে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। আমাদের চালককে ১০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। আমি ট্রাফিক পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ করলে আমাদের লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”
নয়নবাবুর দাবি, তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি। চণ্ডীপুর থানার ওসি অমিয় ঘোষ অবশ্য বলেন, “চন্ডীপুর বাজারের মধ্যে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ওই গাড়িটিকে পাশ দিতে বলা হয়েছিল। তা না যাওয়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ অফিসার নিয়ম মেনেই জরিমানা করেছেন। আর ওই শিক্ষক থানায় আসার পর তাঁর সঙ্গে কেউ দুর্ব্যবহার করেনি। উনি থানায় অভিযোগও জানাতে চাননি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.