টুকরো খবর |
মেদিনীপুরে দশ মাইল দৌড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে দৌড় প্রতিযোগিতা শহরে। ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
প্রতি বছরের মতো এ বারও অনুষ্ঠিত হল দশ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসাহের অন্ত ছিল না মেদিনীপুরে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেন বহু মানুষ। মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে প্রতি বছর শহরে হরেন্দ্র স্মৃতি দশ মাইল দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বার ছিল ৪৮ তম বর্ষ। দৌড় ঘিরে সকাল থেকে শহরের কলেজ মাঠে সাজ সাজ রব পড়ে। এখান থেকেই দৌড় শুরু হয়। এ বার সবমিলিয়ে ৯৮ জন প্রতিযোগি দৌড়ে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম হন সন্তোষকুমার প্যাটেল। তিনি ৫২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন রামমিলন সিংহ। তিনি ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছেন। তৃতীয় হন আর বি সুব্বা। তিনি ৫২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। তিন জনই তরুণ সংঘের। কলেজ মাঠেই পুরস্কার বিতরণ সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। দৌড় শেষে সফলদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিধায়ক বলেন, “দশ মাইল দৌড় ঘিরে প্রতি বছরই শহরে উৎসাহ দেখা দেয়। এ বারও প্রচুর মানুষ এসেছেন। আমরা সব সময়ই এমন উদ্যোগের পাশে থাকি। উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিই।” এ দিন দৌড়ে যোগ দিয়েছিলেন রঞ্জিত মাহাতোও। তাঁর বয়স ৫১ বছর। বাড়ি শালবনির পচাকুঁয়া এলাকায়। এই বয়সেও নিয়মিত দৌড়ন। শরীর-চর্চা করেন। তাঁকে দেখে উদ্যোক্তাদের একজন বলছিলেন, “ওঁকে দেখে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অনুপ্রেরণা পাবে।” এ দিন ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের মধ্যে দৌড় শেষ করেন ৩৫ জন। এঁদের মধ্যে রঞ্জিতবাবুও রয়েছেন।
|
ধর্মঘটের সমর্থনে সভা ইউনিয়নের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
ট্রেড ইউনিয়নের কনভেনশন |
আন্দোলনের ধারবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কর্মী-সমর্থকদের কাছে আহ্বান জানালেন সিটুর রাজ্য সহ-সভাপতি দীপক সরকার। তাঁর কথায়, “শ্রমিকদের উপর শোষণ চলছে। প্রতিবাদে আন্দোলনও চলছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।” বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ট্রেড ইউনিয়নগুলির এক কনভেনশন হয়। ১১টি ট্রেড ইউনিয়ন মিলে আগামী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনেই এই কনভেনশন। এআইটিইউসি, আইএনটিইউসির মতো সংগঠনের নেতৃত্বও সভায় বক্তব্য রাখেন। দীপকবাবু বলেন, “গত ফেব্রুয়ারিতেও ধর্মঘট হয়েছে। একই দাবিতে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম উত্তরোত্তর বাড়ছে। অথচ, কেন্দ্রীয় সরকারের হুঁশ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারও শ্রমিকদের উপর শোষণ করছে। আক্রমণ চলছে। তবে শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়েই তাকে প্রতিহত করতে হবে। এ জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত তরুণী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। জখম হয়েছেন তাঁর স্বামী। বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন হোসনাবাদে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতার নাম শ্বেতা মাইতি (৩০)। বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাইকারপুরে। এ দিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে স্বামীর মোটর বাইকে চেপেই মেদিনীপুরে আসছিলেন শ্বেতাদেবী। হোসনাবাদের কাছে একটি লরি মোটর বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। চার জনই রাস্তায় পড়ে যান। সকলকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। তাঁর আঘাত গুরুতর ছিল। বাকি তিন জন চিকিৎসাধীন। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে লরি চালক এস কোরিমকে।
|
দেওয়ালে ঢেউ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সদর ব্লকের কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়াল পত্রিকার উদ্বোধন হয়েছে মঙ্গলবার। পত্রিকার নাম ‘ঢেউ’। ছাত্রছাত্রীদেরই লেখা রয়েছে। মঙ্গলবার ওই স্কুলের ৩১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেওয়াল পত্রিকার উদ্বোধন হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধনকুমার দে বলেন, “সকলের সহযোগিতাতেই আমাদের এই দেওয়াল পত্রিকার আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আগামী দিনে এই পত্রিকা যাতে আরও ভাল হয়, তার জন্য সব রকম চেষ্টা থাকবে।”
|
অঙ্গনওয়াড়ি উদ্বোধন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সেবাকেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ির নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন হল বুধবার। উপস্থিত ছিলেন উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি, প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন খান। বিবেকানন্দ পল্লিতে দুটি কেন্দ্র তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। অর্থ এসেছে ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ড ফান্ড (বিআরজিএফ) থেকে। অঙ্গনওয়াড়ির ভবন তৈরিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেছেন।
|
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
শুরু হল দাঁতন ১ ব্লকের বড়া নেতাজি শিক্ষা সদনের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। স্কুল প্রাঙ্গণে এই উৎসব চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবের উদ্বোধন করেন তমলুক রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী হরিময়ানন্দ। উৎসব উপলক্ষে রয়েছে কৃষি, বিজ্ঞান, হস্তশিল্প-সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্টল। তিন লক্ষ টাকায় একটি সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক তোরণ নির্মাণের কাজ চলছে। |
|