|
|
|
|
স্টেডিয়ামের উন্নয়নে ৫০ লক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামের উন্নয়নে বরাদ্দ করা হল ৫০ লক্ষ টাকা। মুকুল রায়ের সংসদ তহবিল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে ওই অর্থ দেওয়া হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি জঙ্গলমহল ছাত্র-যুব উৎসব উপলক্ষে মেদিনীপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, অরবিন্দ স্টেডিয়ামের উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “বরাদ্দ টাকায় দ্রুত উন্নয়নের কাজ করা হবে।” মেদিনীপুর শহরের একমাত্র খেলাধূলোর জায়গা হল অরবিন্দ স্টেডিয়াম। শহরে আর দ্বিতীয় কোনও স্টেডিয়াম নেই। কিন্তু স্টেডিয়ামটি জাতীয় স্তরের কোনও প্রতিযোগিতার উপযোগী নয়। সংস্কারের অভাবে গ্যালারির অবস্থা ভাল নয়। বেহাল মাঠও। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে ফেন্সিং। তা নতুন ভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। স্টেডিয়াম রং করাও দরকার। ‘মেদিনীপুর স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা তৃণমূল নেতা আশিস চক্রবর্তী স্টেডিয়ামের উন্নয়ন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। |
|
গ্যালারি থেকে মাঠের ফেন্সিং, বেহাল মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়াম। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণদাস পালও এ বিষয়ে উদ্যোগী হন। কিছুদিন আগেই পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়। আশিসবাবু জানান, ফেন্সিং সারানো, রং করা, খেলোয়াড়দের পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা জায়গা, সভাপতির ঘর, সম্পাদকের ঘর, ভিআইপি লাউঞ্জ, চিকিৎসকের ঘর-সহ একটি উন্নত স্টেডিয়ামের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু তৈরির পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সব মিলিয়ে দেখা গিয়েছিল স্টেডিয়াম সংস্কার করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।” কৃষ্ণদাসবাবুর কথায়, “এই প্রকল্প রিপোর্ট আমরা আগেই জেলাশাসকের কাছে জমা দিয়েছিলাম।” ছাত্র-যুব উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৪ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই রাতেই বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তখনই স্টেডিয়ামের সংস্কারের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান আশিসবাবু। পরদিনই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, অরবিন্দ স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
এখন এই স্টেডিয়ামে প্রায় ১০ হাজার দর্শক বসতে পারে। গ্যালারিতে বসতে পারে প্রায় ৮ হাজার দর্শক। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের বসার জায়গা, বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় চেয়ার দিয়ে আরও দু’হাজার জনকে বসানো যায়। স্টেডিয়াম সংস্কার হলে দর্শকাসন কিছুটা বাড়বে। স্টেডিয়ামটি দেখতেও হবে মনোরম। তারই সঙ্গে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হলে জাতীয় স্তরের খেলাধূলোর আয়োজন করা যাবে। আগ্রহ বাড়বে সাধারণ মানুষের। প্রশাসন জানিয়েছে, স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ করবে পূর্ত দফতর। শীঘ্রই পূর্ত দফতরকে বরাদ্দ টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|