পাঁচটি সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে ধান কিনছে রাজ্য সরকার।
কিন্তু চাষিরা কি আদৌ সরকারি শিবিরে ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন ধান?
না কি খোলাবাজারে অভাবী বিক্রিই ভবিতব্য? |
সুদর্শন মল্লিক
বড় চাষি
গ্রাম ফতেগড় আমশোল পঞ্চায়েত ৪৫ বিঘা জমিতে আড়াইশো কুইন্টালের মতো ধান হয়। এখনও সব ধান ঝাড়া হয়নি। ৫৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি। তার মধ্যে ৪৫ কুইন্টাল সমবায়ে। চেক পেয়েছি। বাকিটা চালকলে।
|
|
মহম্মদ আলি গায়েন
প্রান্তিক চাষি
গ্রাম আঁধারনয়ন আমশোল পঞ্চায়েত
দু’বিঘা জমি। ধান হয় ১০ কুইন্টাল। এক কিমির মধ্যে সরকারি শিবির হওয়ায় ধান বিক্রি করতে খুব সুবিধা হয়েছে এ বার। ধান ব্যবসায়ীদের বিক্রি করলে পুরো টাকা পেতাম না। বার বার তাগাদা দিতে হত।। |
|
আইনাল হক
ম্যানেজার, আঁধারনয়ন কৃষি উন্নয়ন
আঁধারনয়ন
সদস্য সংখ্যা ১০৮৩। লক্ষ্যমাত্রা ২০-২৫ হাজার কুইন্টাল। কেনা হয়েছে ১৭ হাজার কুইন্টাল ধান। শিবির করে ধান কেনা হচ্ছে। শিবিরের দিন ভালই ভিড় হয়। হাতে-হাতে চেক দিই।
|
|
মহাদেব কোলে
চালকল মালিক লক্ষ্মী জনার্ধন
দক্ষিণশোল
১৪ হাজার কুইন্টাল ধান মজুত হয়। সমবায় বা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হচ্ছে। চাষিদের সঙ্গে সঙ্গে চেক দেওয়া হচ্ছে। গত বছর লেভি দেওয়া হয়েছিল ১২ হাজার ৯০ কুইন্টাল।
|
|
জেলার প্রায় সব ব্লকেই সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমেই মূলত ধান কেনা হচ্ছে।
তবে এখনও কিছু ব্লকে ধান কেনা শুরু হয়নি। যাতে দ্রুত ধান কেনা যায়,
তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থপ্রতিম রায়, খাদ্য পরিদর্শক
পশ্চিম মেদিনীপুর |
|