|
|
|
|
|
রানওয়ের যন্ত্র বিকল, দিক
ভুল করেও রক্ষা বিমানের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
কখনও খারাপ হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। কখনও বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর অফিসারদের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন না পাইলট। কখনও আবার মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটছে এটিসি অফিসারেরই। ফলে মাঝেমধ্যেই আকাশে মুখোমুখি চলে আসছে দু’টি বিমান। আছে বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে পাইলটের দিক ভুল করে ফেলার সমস্যাও।
পাইলটের দিগ্ভ্রমের একটি ঘটনা বুধবারেই ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। মাটিতে থাকা নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বিগড়ে যাওয়ায় দিক ভুল করে বন্ধ থাকা রানওয়েতে নেমে আসছিল একটি বিমান। শেষ মুহূর্তে এটিসি সতর্ক করে দেওয়ায় বিমানটি ফের উড়ে গিয়ে এ-যাত্রা রক্ষা পায়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বর থেকে ১০ আসনের একটি ছোট বিমান আসছিল কলকাতায়। পাইলট ও সহকারী পাইলট ছাড়া বিমানে আর কেউ ছিলেন না। তাঁদের নামার কথা ছিল প্রধান রানওয়েতে। রানওয়ের মাঝবরাবর সাদা লাইন আছে। সেখানে বিমানকে পথ দেখিয়ে নামিয়ে আনে ‘লোকালাইজার’ নামে একটি যন্ত্র। এ দিন বেসরকারি সংস্থার ছোট বিমানটি নামার মুখে আচমকাই সেই যন্ত্র বিগড়ে যায়। ফলে দিক ভুল করে বিমানটি পাশের দ্বিতীয় রানওয়েতে নেমে আসতে থাকে।
এক অফিসার জানান, দ্বিতীয় রানওয়ে তখন বন্ধ ছিল। এ দিন সেখানে কোনও বিমান দাঁড়িয়ে ছিল না। কিন্তু অনেক সময়েই দ্বিতীয় রানওয়েতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে যাত্রিবাহী বিমান। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ছোট বিমানটি সেখানে নামছিল। তখন ওখানে কোনও বিমান থাকলে এবং সেই অবস্থায় ছোট বিমানটি নেমে এলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল জানান ওই অফিসার।
বিমানটিকে ভুল রানওয়েতে নেমে আসতে দেখে টনক নড়ে এটিসি-র। তারা সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিকে আবার উড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ফের উড়ে গিয়ে বেঁচে যায় বিমানটি। ওড়িশার এক বেসরকারি সংস্থার ওই ছোট বিমান কলকাতায় আসছিল তাদের তিন অফিসারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ওই তিন অফিসার এ দিনই দুবাই থেকে কলকাতায় আসেন। ছোট বিমানটি ঘুরে এসে দ্বিতীয় বার নামার সময় পাইলটকে পথ দেখায় এটিসি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে যন্ত্রটি সারানো হয়। সেই সময় আর কোনও বিমানের কলকাতায় নামার কথা ছিল না।
নতুন বছরেই আচমকা যন্ত্র খারাপ হয়ে গিয়ে অন্তত তিন বার এমন বিপত্তি ঘটেছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, অন্য তিনটি ঘটনায় পাইলটেরা নির্দেশ মানেননি এবং দু’টি ঘটনায় মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটেছে এটিসি অফিসারের। প্রতিটি ঘটনা নিয়েই আলাদা আলাদা তদন্তে নেমেছে বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। |
|
|
|
|
|