টুকরো খবর |
প্রধানমন্ত্রী টাকা দিলে তবেই হবে ইস্ট-ওয়েস্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ভাঁড়ারে নেই প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ। থমকে রয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ। অর্থের জন্য দরবার করতে তাই এ বার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে যাচ্ছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। দেখা করে কথা বলবেন প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অধীরবাবু বললেন, “রেলের হাতে আর টাকা নেই। ওই প্রকল্পের জন্য এখনও প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। তাই যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। অর্থের আবেদন করে চিঠিও দেব।” রেল সূত্রের খবর, চার হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পটি প্রথমে ছিল রাজ্য সরকার ও রেলের হাতে। পরে তা চলে আসে রেল ও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে। বর্তমানে এই প্রকল্পটির ৭৪ শতাংশ রেলের, বাকি ২৬ শতাংশ কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে। প্রয়োজন আরও সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।
রেল বোর্ড সূত্রে খবর, টাকার জন্য ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের ফিন্যান্স কমিশনার বিজয় পন্থ চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে। এ বার রেল প্রতিমন্ত্রী নিজে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। টুকরো টুকরো কিছু কাজ ছাড়া গোটা প্রকল্পের কাজই এখন থমকে গিয়েছে টাকার অভাবে। বহু এলাকায় জমিও অধিগ্রহণ করতে পারেনি রেল। এমনকী, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রশাসনিক গোলমালও লেগে রয়েছে। ফলে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ কী হবে, সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
|
পাঁচিল ভেঙে গাড়ি বস্তিতে |
প্রায় ২০ ফুট উপর থেকে স্বভূমির পাঁচিল ভেঙে একটি গাড়ি নীচের বস্তিতে পড়ে যাওয়ায় চালক-সহ ছ’জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ বস্তিবাসীকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে গাড়িচালক সুজিত শর্মাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, স্বভূমির নীচে সেবকনগর বস্তির বাসিন্দারা ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বোলেরো গাড়ি উপর থেকে পাঁচিল ভেঙে এসে পড়ে বস্তির একটি চালাঘরে। ওই ঘরের বাসিন্দা সঞ্জয় ও সন্ধ্যা হরি এবং তাঁদের দুই মেয়ে মুশকান ও প্রিয়াঙ্কা আর শিশুপুত্র বাবুসোনা আহত হন। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়ির মালিক-চালক সুজিতকে মারধর করে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
|
হোর্ডিং খোলার কাজ শুরু |
|
পাল্লা সমান হোর্ডিং সরানোর পুর-অভিযানে বাদ গেলেন না মুখ্যমন্ত্রীও। |
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন শহরের ‘শ্রী’ ফেরাতে হবে। সরাতে হবে রাস্তার দু’পাশ জুড়ে শহরের মুখ ঢেকে রাখা হোর্ডিং ও ব্যানার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীরই ছবি দেওয়া একটি হোর্ডিং সরিয়ে শহর পরিষ্কারের কাজ শুরু করলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “ওই হোর্ডিংটি পুরনো। কর্মসূচি শেষ হওয়া এমন হোর্ডিং, ফেস্টুন ও ব্যানার সবই সরানো হবে।” তিনি জানান, বুধবার থেকে আগামী সাত দিন রাস্তাঘাট, আবর্জনা-সহ শহরের যাবতীয় জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ চলবে।পুর সূত্রে খবর, হোর্ডিংয়ের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে শহরের অধিকাংশ এলাকা। এ নিয়ে অভিযোগও গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাতায়াতের পথে লক্ষ্য করেছেন। হোর্ডিংগুলির বেশির ভাগই পুরনো। অর্থাৎ, তাতে লেখা কর্মসূচি আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা-সহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েই গিয়েছে সেগুলি। এ দিন গড়িয়াহাটে ওই কাজ শুরু করেন মেয়র। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদারও সাফাই অভিযানের সময়ে হাজির ছিলেন। তিনি জানান, এ দিন গড়িয়াহাট, ঢাকুরিয়া, যাদবপুর, হাতিবাগান-সহ শহরের বহু জায়গায় জঞ্জাল সাফাই শুরু হয়েছে।
|
নাশকতা রুখতে |
|
গন্ধ-বিচার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে তল্লাশি পুলিশ-কুকুরের। |
আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতা শহরে নাশকতামূলক কার্যকলাপ রুখতে রীতিমতো কোমর বেঁধে তৈরি মিশা, রোজি, টুইঙ্কলরাও। কলকাতা পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াড’-এর অন্যতম এই তিন ‘সদস্য’ বুধবার নজরদারি চালাল রেড রোড এবং ময়দান এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে।পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকটি স্যুটকেসের মধ্যে বিস্ফোরক, মাদক-সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিস লুকিয়ে রেখে ওই সারমেয়দের সে সব খোঁজার নির্দেশ দেন প্রশিক্ষকেরা। প্রত্যেক বারেই নিখুঁত দক্ষতায় সে কাজ সম্পন্ন করে ডোবারম্যান (মিশা), রটওয়েলার (রোজি) এবং ল্যাব্রাডর (টুইঙ্কল) প্রজাতির ওই তিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ-কুকুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেকের মধ্যেই ভিনরাজ্যে সর্বভারতীয় স্তরে একটি প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছে পুলিশের সারমেয়বাহিনীর এই সদস্যেরা।
|
তুঘলকি খেয়াল রাতের লোকালে, যাত্রীরা বিপন্ন |
শিয়ালদহে লোকাল ট্রেন দেরিতে চলাটাই নিয়ম! কিন্তু ইদানীং নতুন বিপত্তি দেখা দিয়েছে। রাতে মেন লাইনে বেশির ভাগ লোকাল ট্রেনই খেয়ালখুশিমতো চালানো হচ্ছে। একটি ট্রেনকে অহেতুক আটকে রেখে ছাড়া হচ্ছে অন্যটি। ফলে একটি লোকাল থেকে নেমে যাত্রীরা মারামারি করে অন্যটিতে উঠতে উঠতেই ছেড়ে দিচ্ছে ট্রেন। দৌড়োদৌড়ি করতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছেন অনেকে। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদে যাত্রীরা চেঁচামেচি করছেন। ট্রেনচালক ও গার্ডের কাছে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলার দৃষ্টান্ত হিসেবে যাত্রীরা বলছেন, শিয়ালদহ স্টেশনের বৈদ্যুতিন বোর্ডে দু’টি প্ল্যাটফর্মে দু’টি ট্রেন ছাড়ার কথা ফুটে উঠল। একটি নৈহাটি ও অন্যটি গেদে। দু’টিই মেন লাইনের ট্রেন। নৈহাটি ছাড়ার কথা ৯টা ২০ মিনিটে। গেদে ছাড়ার কথা সাড়ে ৯টায়। কিন্তু দু’টি ট্রেনেই যাত্রীরা উঠে পড়ার পরে মাইকে হঠাৎ ঘোষণা: ‘নৈহাটি লোকাল ছাড়তে দেরি হবে। গেদে লোকাল আগে যাবে।’ শুনেই পড়িমরি করে দু’তিনটি প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে নৈহাটি লোকালের যাত্রীরা যখন গেদে লোকালের সামনে যাচ্ছেন, তত ক্ষণে সেই ট্রেনে তিলধারণের জায়গা নেই। ফলে বেশির ভাগ যাত্রীই উঠতে পারছেন না। এক মাস ধরে এমনটাই চলছে বলে অভিযোগ। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার সমীর গোস্বামী বলেন, “সমস্যাটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
শ’খানেক ঝুপড়ি পুড়ে গেল ট্যাংরায় |
|
তখনও চলছে আগুন নেভানোর লড়াই। বুধবার। ছবি: প্রদীপ আদক |
বুধবার দুপুরে ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্যাংরার মেহের আলি রোডের প্রায় শ’খানেক ঝুপড়ি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার রাস্তা সরু হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হয়। দমকল সূত্রে খবর, ঘিঞ্জি এলাকায় প্লাস্টিকের স্তূপে প্রথমে আগুন লাগে। তা দ্রুত ছড়ায় আশপাশের ঝুপড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হননি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দু’জন জখম হয়েছেন।
|
ধোঁয়া-বন্দি ২ |
দোতলায় উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে তখন আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় নিজেদের ফ্ল্যাটে আটকে পড়লেন সত্তরোর্ধ্ব এক দম্পতি এবং তাঁদের আয়া। বুধবার রসা রোড থেকে তাঁদের উদ্ধার করে দমকল। দোতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মনোজিৎ ও মঞ্জুলা মুখোপাধ্যায় নামে ওই বৃদ্ধ দম্পতি। দোতলার অন্য ফ্ল্যাটে গানের স্টুডিওয় আগুন লাগে। ধোঁয়ায় আটকে পড়েন তাঁরা। দমকলে ফোন করলে পাঁচটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়।
|
যুবক ধৃত |
হরিয়ানার হোটেলে জঙ্গি হানার হুমকি দিয়ে ই-মেল পাঠানোর অভিযোগে কলকাতায় এক যুবককে গ্রেফতার
করা হল। নাম নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার বেহালা পুলিশকে নিয়ে গড়িয়ার উত্তর শ্রীরামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। ২০ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামে গুড়গাঁওয়ের এক হোটেলে ওই হুমকি মেল পাঠানো হয়। |
|