|
|
|
|
|
|
(আইনি পরামর্শ জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়) |
• আমি দমদমের কাছে একটি ফ্ল্যাট কিনেছি। প্রোমোটারের মাপ অনুসারে তার সুপার বিল্ট-আপ এরিয়া ৯৫০ বর্গফুট। কিন্তু আমার নিজস্ব মাপ অনুসারে তা দাঁড়াচ্ছে ৮৪১ ফুট। আসল মাপ কী ভাবে জানতে পারি?
পার্থ দাস, দমদম
ভারতের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, সুপার-বিল্ট আপ এরিয়া বলে কিছু হয় না। কার্পেট এরিয়া, প্লিন্থ এরিয়া অথবা কভার্ড এরিয়া হতে পারে। তবে এখন সাধারণত কার্পেট এরিয়ার ২৫-৫০% সুপার-বিল্ট আপ এরিয়া হিসেবে ধরে, তা মূল অংশের সঙ্গে যোগ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়। সুপার বিল্ট-আপ এরিয়ার মধ্যে লিফ্ট, সিঁড়ি, ছাদ, খালি জায়গা-সহ বিভিন্ন অংশ ধরা হয়ে থাকে। আপনি কী হিসেবে ওই জায়গা মাপছেন এবং আপনার প্রোমোটারই বা কোন কোন স্থান যোগ করছে, সেটা নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে কথা বলুন।
• আমার দু’টি প্রশ্ন আছে। প্রথমত, কেউ যদি বাড়ি বা জমি কেনা-বেচার সময়ে কলকাতা রেজিস্ট্রি অফিসে সেই জমি বা বাড়ির ভুল ঠিকানা (যার অস্তিত্ব নেই) দেন, তবে ওই লেনদেন সংক্রান্ত দলিলটি বৈধ হবে না অবৈধ?
দ্বিতীয়ত, ভুল তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনে নাম পত্তন করা হলে তা কি গ্রাহ্য হবে?
কার্তিক লাল সেন, কলকাতা
আজকাল জমি বিক্রির পরে তা রেজিস্ট্রি করার সময় ‘কোয়্যারি’ তুলতে হয়। অর্থাৎ জমির বিস্তারিত বিবরণ জমা দিয়ে বাজার মূল্য কত, তা জানতে হয়। এই সময়ে যদি জমির ঠিকানা ভুল দেওয়া থাকে, তা হলে জমির বাজার দর নির্ধারণেও ভুল হবে। তপশীলেও ভুল হবে এবং সেই অনুসারে রেজিস্ট্রেশনেও ভুল থাকবে। যে কারণে ভুল ঠিকানা দিয়ে জমি ক্রয় বা বিক্রয় করলে সেই লেনদেনটি অবৈধ বা বেআইনি বলেই গণ্য হবে।
একই ভাবে কলকাতা কর্পোরেশনে নাম পত্তন, মানে মিউটেশন-এর সময়েও ঠিকানা ভুল দেওয়া হলে, সেই মিউটেশন বৈধ বলে ধরা হবে না। |
|
|
|
|
|