নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ছুটির দিনেও রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হল রামপুরহাট থানার বড়শাল পঞ্চায়েতে। এই বিশৃঙ্খলার জেরে এ দিনের মতো ছবি তোলার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে, ছবি তোলার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছবি তুলতে আসা রামপুরহাট থানার পাবরোখিয়া, চন্দনকুণ্ঠা, কামাক্ষ্যা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তা অবরোধ করেন। ঘণ্টা খানেক অবরোধ চলার পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বড়শাল পঞ্চায়েতের সদস্য হানিফ শেখ জানান, এলাকার ২০০টি পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় ছবি তোলার জন্য ডাকা হয়। হাজার খানেক মানুষ বুধবার সকাল থেকে পৌঁছলেও বিকেল তিনটে পর্যন্ত কাজ তেমন ভাবে এগোয়নি। তাঁর দাবি, “অথচ পঞ্চায়েত কর্মী, প্রধানের স্বামী ছবি না তুলে চলে যান। এর প্রতিবাদে মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করেন।”
পাবরোখিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শেখের অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গে এমন দুর্নীতিগ্রস্ত পঞ্চায়েত কোথাও নেই। পঞ্চায়েত প্রধান ছবি না তুলে বাড়ি চলে গেলেন। অথচ গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষজন ৩০ টাকা করে দিয়ে হয়রান হয়ে ঘুরে গেলেন।” এ দিন ছবি তোলার কাজে যুক্ত ছিলেন পঞ্চায়েত কর্মী বুদ্ধদেব দাস, প্রসাদ লেট, খাজনা আদায়কারী সুখেন সাহা এবং স্বাস্থ্য বিমা সংস্থায় যুক্ত একটি এজেন্সির তিন কর্মী। বুদ্ধদেববাবু বলেন, “২০০ পরিবারের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ব্লক অফিসের নির্দেশে ছুটির দিনেও কাজ চলছিল। সকাল ১০টা থেকে কাজ শুরু হয়।”
তাঁর দাবি, “কে আগে ছবি তুলবে এই নিয়ে আসা লোকজনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা বাধে। তাড়াহুড়ো করতে দু’বার ক্যামেরা খারাপ হয়ে যায়। এর পরেই মানুষজন চেয়ার টেবিল উল্টে দিতে থাকেন।” তাঁর অভিযোগ, “কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করেন, দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা।” রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ছবি তোলার কাজ চলছে। কাজের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েতের গ্রামসংসদ অনুযায়ী দিন দেওয়া হয়েছে। প্রায় ক্ষেত্রে ছোটোখাটো ঝামেলা হচ্ছে। এ দিনও ঝামেলা হওয়ার জন্য ২৯ জানুয়ারি ছবি তোলার দিন ধার্য হয়েছে।” |