ব্লাড ব্যাঙ্কের দাবি
নকশালবাড়িতে রক্তক্ষরণে মৃত্যু প্রসূতির
কশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক তৈরির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত মঙ্গলবার নকশালবাড়ি হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পর এর প্রসূতির মৃত্যুর পর ওই দাবি উঠেছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রক্তক্ষরণে নাজিরা খাতুন (২০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। খোদ মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর মালাকার ওই দাবি তুলেছেন।
তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকার মধ্যে নকশালবাড়ি হাসপাতালের রোগীর চাপই সবচেয়ে বেশি। আর রক্তের জন্য ২০-২২ কিলোমিটার দূরে মেডিক্যাল কলেজ বা খড়িবাড়িতে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে নকশালবাড়িতে না থাকাটা অস্বাভাবিক। বিধানসভার পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নকশালবাড়ি হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। কিছুই হচ্ছে না।” বিধায়ক জানান, যে ভাবে গত সোমবার হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল তা কাম্য নয়। রক্তের ব্যবস্থা হাসপাতালে না থাকলে ফের ওই ঘটনা ঘটতেই পারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কোনও হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কের ব্যবস্থা রাখতে হলে প্রথমেই আলাদা একটি ৩০০ স্কোয়ার ফুটের ঘর প্রয়োজন। সেখানে রেফ্রিজেরটর এবং অন্য যন্ত্রপাতির মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। এ ছাড়া কম করে দু’জন মেডিক্যাল অফিসার ও টেকনিশিয়ান-সহ পাঁচ জন অফিসার, কর্মীর প্রয়োজন। রিজিওন্যাল ব্ল্যাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলরের উত্তরবঙ্গের অধিকর্তা মৃদুময় দাস বলেন, “পরিকাঠামো গড়ে ব্লাড ব্যাঙ্ক নকশালবাড়িতে তৈরি হতেই পারে। তবে পুরোটাই সরকারি সিদ্ধান্ত। দাবি যখন উঠেছে বিষয়টি নিশ্চয়ই কলকাতা থেকে দেখা হবে।”
মঙ্গলবার যে প্রসূতি মারা গিয়েছেন, অত্যাধিক রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। মৃতার পরিবারের তরফে মণিরামের বাসিন্দা মহম্মদ ইসলাম বলেন, “ওই হাসপাতালে রক্তের কোনও ব্যবস্থা নেই। গ্রামের বাসিন্দারা তো আর জানেন না। আমারা নকশালবাড়ি হাসপাতালের উপরই নির্ভরশীল। এত বছর পরে এই হাসপাতালে ওই ব্যবস্থা কেন নেই তা বুঝতে পারছি না।”
মৃত্যুর ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরে নকশাবাড়ি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। হাসপাতালের তরফে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাত অবধি কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, কর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। একটি পুলিশ পিকেট হাসপাতালে থাকলে ভাল হয়। আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.