টুকরো খবর |
শীত, শিবির কম পাহাড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত এক মাস ধরে হাসপাতালের এই অবস্থা চলছে। তার মধ্যে গত সপ্তাহে শেষে হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে কোনও গ্রুপেরই রক্ত ছিল না। হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের বোর্ডে ওই বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তবে মাসের শেষে কিছুটা পরিস্থিতি বদল হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের জোগান দেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রক্তদান শিবির। কিন্তু শীতের মরসুমে পাহাড়ে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দার্জিলিঙের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। মাঝেমধ্যে ব্লাডব্যাঙ্কে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর কয়েক দিন মধ্যে তা বদলে যায়। দার্জিলিঙের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্তের সমস্যা রয়েছে ঠিকই। শীতের জন্য শিবির কম হওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে এখন কম থাকলেও ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্ত রয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েক দিন আগে বিজনবাড়িতে একটি ক্যাম্প হয়। তাতে কিছু রক্তের জোগান মিলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা, স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, ৩০৮ শয্যার এই হাসপাতালটি সবসময়ই ভর্তি থাকেন। প্রতিদিন খুব কম করে ২৫-৩০ ইউনিট রক্ত হাসপাতালে প্রয়োজন হয়। সঙ্কট থাকায় হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীদের আত্মীদের নিজেদেরই ব্যবস্থা করে নিতে হবে। দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা আরও বাড়বে।
|
উত্তর দিনাজপুরে রক্ত-ব্যাগের সরবরাহ বন্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে রক্ত সংরক্ষণ ও সংগ্রহের ব্যাগের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি এতই জটিল যে আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ব্যাগ সরবরাহ স্বাভাবিক না-হলে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সংগ্রহের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। দশ দিন ধরে ওই ব্যাগ আসছে না। উত্তর দিনাজপুরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম ঘোষ বলেন, “সমস্যার কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।” প্রতি দিন এখানে ২৫০ রক্তের ব্যাগ থাকার কথা। কিন্তু বুধবার ছিল ২৫টি। এ দিন কালিয়াগঞ্জের ফতেপুর এলাকায় একটি রক্তদান শিবিরে একশো জন রক্ত দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও ব্যাগের অভাবে ৫৩ ইউনিটের বেশি রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রোগীদের সরবরাহ করা হয় প্রায় ৭০০ ইউনিট। এখান থেকে নার্সিং হোমের রোগীরাও রক্ত পেয়ে থাকে। দুর্ঘটনায় জখম রোগীদের জন্য ৩০ ইউনিট রক্ত সংরক্ষণ করা হয়। সমস্ত প্রক্রিয়া চালু রাখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতি মাসে হাজার রক্তের ব্যাগ ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করা হয়। ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, ১ ডিসেম্বর ব্লাড ব্যাঙ্কের হাতে ছিল ১২৯টি ব্যাগ। পরের দিন শিলিগুড়ির রিজিওনাল ব্লাড ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে ২০০টি ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর রক্ত সংগ্রহ করে রোগীদের দেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ দেখেন সেখানে মাত্র ১১৪টি ব্যাগ রয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “বৃহস্পতিবারের মধ্যে রক্তের ব্যাগের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সংগ্রহের কাজ বন্ধ হতে পারে।”
|
চরবাসীদের চিকিৎসায় ভাসমান হাসপাতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রত্যন্ত ও দুর্গম চর এলাকাগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে আগামী বছর থেকেই অসমে চালু হচ্ছে ‘জাহাজ-হাসপাতাল’। আজ বিধানসভায় এই ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নর্থ-ইস্টার্ন কাউন্সিল (এনইসি)-র সহায়তার গড়া হচ্ছে এই ভাসমান চিকিৎসা কেন্দ্র। মন্ত্রী জানান, গুয়াহাটির পাণ্ডু বন্দরে জাহাজ-হাসপাতাল নির্মাণের কাজ হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প সফল হলে, ২০১৪ সালে আরও ভাসমান চিকিৎসাকেন্দ্র জলে নামবে। কী থাকছে এই জাহাজ হাসপাতালে? হিমন্ত জানান, সাধারণ শল্যচিকিৎসা, স্ত্রীরোগ, শিশুরোগ, ইএনটি-সহ নানা আবশ্যিক বহির্বিভাগ থাকবে জাহাজে। থাকবে এক্স-রে, আলট্রা সাউন্ড পরীক্ষার ব্যবস্থা, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি, অপারেশন থিয়েটার, ওষুধের দোকান। কেবল তাই নয়, থাকবে স্ত্রী ও পুরুষ ওয়ার্ডও। সেখানে পাঁচটি করে বেড থাকবে। থাকছে চিকিৎসক, নার্সদের কেবিন। অন্যান্য কর্মীদের কক্ষ, কর্মীদের বিনোদনের ব্যবস্থা। রান্নাঘর, খাবার ঘর তো থাকছেই। রাজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ ব্রহ্মপুত্রের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আড়াই হাজার চরে বাস করেন। বন্যার সময় অধিকাংশ চরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখানে গর্ভবতী ও নবজাতকের মৃত্যু হারও বেশি। ব্রহ্মপুত্রের চর এলাকাগুলির জন্য বোট-ক্লিনিক আগেই চালু হয়েছিল। বর্তমানে ৫টি বোট-অ্যাম্বুলেন্স ও ১৫টি বোট-ক্লিনিক রয়েছে রাজ্যে। তবে, বোট-ক্লিনিক বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে যে সব রোগীকে বড় হাসপাতালে রেফার করা হয় তাদের মধ্যে হাতেগোণা কিছু মানুষই শেষ পর্যন্ত জেলা সদর অবধি আসতে পারতেন। মন্ত্রীর আশা, এই জাহাজ হাসপাতাল সেই দূরত্ব ঘোচাবে। বিশেষ ভাবে উপকৃত হবে মহিলা ও শিশুরা। তিন তলা বিশিষ্ট জাহাজের নীচতলায় গড়া হচ্ছে বহির্বিভাগগুলি। দ্বিতীয় তলে থাকছে অস্ত্রোপচার কক্ষ, ওয়ার্ড ও অন্যান্য পরীক্ষাগার। উপরের তলে থাকার ঘর, কনফারেন্স কক্ষ, প্রশাসনিক দফতর। আপাতত ফুলবাড়ি-ফকিরগঞ্জ-চুনারির রাস্তায় যাতায়াত করবে এই জাহাজ হাসপাতাল। খরচ ৪ কোটি টাকা।
|
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরাতে উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
অবশেষে কাঁথি ৩ ব্লকের খড়িপুকুরিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরাতে নড়েচড়ে বসল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি আনন্দবাজারে ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরাতে চেয়ে বিপাকে চিকিৎসক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জীর্ণ দশার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কারের একটি পরিকল্পনা চেয়ে পাঠান কাঁথি-৩ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রদীপ্ত বিশ্বাসের কাছে। সেই মতো প্রদীপ্তবাবু ব্লকের কারিগরি শাখার বাস্তুকারকে দিয়ে একটি পরিকল্পনা ও তার আনুমানিক খরচ অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। প্রস্তাবিত ৩০ শয্যার গ্রামীণ হাসপাতালের ভবনও শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
|
হাসপাতাল পরিদর্শন বিধানসভার দলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের বার্নপুর উপকেন্দ্র পরিদর্শনের পর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোম পরিদর্শন করলেন বিধানসভার একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি দোলা সেন, দফতরের ডিরেক্টর গৌতম ঘোষ প্রমুখ। দোলাদেবী জানান, তাঁরা হাসপাতালগুলি ঘুরে সুবিধা-অসুবিধা দেখে গেলেন। শ্রম কল্যাণ দফতর থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সংশ্লিষ্ট দফতরকে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
|
রাজ্যে হাসপাতাল গড়তে ৫০০ কোটি লগ্নি অ্যালকেমিস্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে যখন নতুন বিনিয়োগে খরা, তখনই রাজারহাটের নিউ টাউন, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে তিনটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়তে রাজ্যে ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে জানাল অ্যালকেমিস্ট গোষ্ঠী। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহের তৈরি এই সংস্থার কর্ণধার তাঁর পুত্র করণদীপ। সংস্থা সূত্রে খবর, নিউ টাউনের প্রথম হাসপাতালটি হবে ২ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে, ৩০০ শয্যার। জমি ঠিক হয়েছে। সব সরকারি ছাড়পত্রও মিলেছে। করণদীপ জানান, পূর্ব ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ঘাটতি রয়েছে বলেই এই উদ্যোগ। গুড়গাঁও ও চণ্ডীগড়ে দু’টি হাসপাতাল চালায় অ্যালকেমিস্ট।
|
হাসপাতালের কাজ শুরু জানুয়ারিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়িতে জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হতে চলেছে ‘মার্ক হসপিটালে’র। মহারাজা অগ্রসেন রিসার্চ অ্যান্ড চ্যারিটেবল হসপিটাল-এর (মার্ক হসপিটাল) তরফে হাসপাতালটি তৈরি হচ্ছে। বুধবার ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনালের পাশে প্রস্তাবিত এলাকায় এক অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা এই ঘোষণা করেন। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জীতেন্দ্র মি জানিয়েছেন, ৫২ কাঠা জমির উপর ২৫ কোটি টাকা খরচ করে আপাতত ১০০ শয্যার ওই হাসপাতালের কাজ শুরু হচ্ছে। পরে শয্যার সংখ্যা ২৫০ হবে। প্রস্তাবিত এলাকায় আরও ৪৫ কাঠা জমি রাখা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক, কর্মীদের আবাসন এবং নানা দফতর হবে। পাঁচ তলার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে সব রকম চিকিৎসার সুবিধা থাকবে।
|
ডেন্টালের নয়া ভবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের নয়া হাসপাতাল ৩০ জানুয়ারির মধ্যে উদ্বোধন করা হবে। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসেই ডেন্টাল কলেজের কাজ হচ্ছে। বাম জমানায় ডেন্টাল কলেজের জন্য আলাদা ভবন তৈরির কাজ শুরু হলে সেই কাজ নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সরব হন ছাত্র সংগঠন ডিএসও।
|
বেআইনি দোকান |
|
ছবি তুলেছেন মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে সমস্ত বেআইনি দোকান ঘর তুলে দিয়েছিলেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। স্বস্তি ফিরে পায় হাসপাতালের ছাত্র, চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে। কিন্তু ১০ দিন যেতে না যেতে পযর্টন মন্ত্রী নিজেই দোকানগুলি ফের বসানোয় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী জানান, আগে যেখানে সেখানে দোকান ছিল। ওদের তুলে এক কোণে বসানো হয়। |
|