নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ির বেআইনি বাণিজ্যিক নির্মাণ ভাঙার কাজ থমকে যাওয়ায় এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করল নির্মাতাদের সংগঠন কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অব ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) উত্তরবঙ্গ শাখা। বুধবার সংস্থার তরফে জানানো হয়, অবৈধ বাণিজ্যিক নির্মাণকে প্রশ্রয় দিলে শহরে নানা ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। ক্রেডাইয়ের উত্তরবঙ্গ শাখার সভাপতি জিতেন্দ্র মিত্তল বলেন, “কোথাও সংস্কারের নামে নতুন করে নির্মাণ করা ঠিক নয়। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে এমনও কয়েকটি জায়গায় হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুরসভা তা ভেঙে দেওয়ার অভিযানে নামায় আমরা খুশি। কিন্তু, অভিযান বন্ধ হওয়ায় নানা বিতর্ক হচ্ছে। আশা করব, পুরসভা দ্রুত পদক্ষেপ করবে।”
সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভা একাধিক বেআইনি বাণিজ্যিক নির্মাণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ৩টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ভাঙা হয়েছে। অন্য অন্তত ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছু হটে পুরসভা। অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক শ্রেণির প্রভাবশালী নেতার মদতে ওই বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বেআইনি বাণিজ্যিক নির্মাণে মদত দেওয়ার ব্যাপারে নাম জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস-তৃণমূল ও সিপিএমের একাংশেরও। তা নিয়ে পুরকর্মীদেরও মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, একাধিক রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার সঙ্গে একাংশ প্রোমোটরে যোগসাজশেই অভিযান থমকে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এক শ্রেণির প্রোমোটার পুরসভায় গিয়ে কয়েকজন নেতাদের নাম করে তাঁদের সারা বছর ‘নানাভাবে সাহায্য’ করা হয় বলে দাবি করেছেন বলেও পুরকর্মীদের একাংশের অভিযোগ।
এই অবস্থায় পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অবশ্য বলেছেন, “নির্মাতাদের সংগঠন মতামত দিতেই পারে। পুরসভা সব দিক খতিয়ে দেখে আইন মেনে শহরের অবৈধ বাণিজ্যিক ভবনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” এর আগেও অবশ্য একাধিকবার মেয়র ওই আশ্বাস দিয়েছেন।
কিন্তু বাস্তবে শ্রেঠ শ্রীলাল মার্কেট, বিধান রোড, বর্ধমান রোড-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণের বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরসভা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা এ ব্যাপারে মেয়রের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। |