|
জাতীয় প্রতিষ্ঠান
হওয়ার পথে বেসু
শঙ্খদীপ দাস • নয়াদিল্লি |
|
শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (বেসু) এ বার জাতীয় স্তরের মর্যাদা ও গুরুত্ব পেতে চলেছে। এই লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ আইন সংশোধন বিলে কাল, বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে পারে মনমোহন সিংহ মন্ত্রিসভা।
বিলটি প্রথমে মন্ত্রিসভা ও পরে সংসদে পাশ হলে বেসু নতুন চেহারা নেবে। নামও হবে নতুন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর। সে ক্ষেত্রে আপাতত বেসু’র বর্তমান উপাচার্যই আইআইইএসটি-র ডিরেক্টর নিযুক্ত হবেন, বর্তমান পড়ুয়ারা আইআইইএসটি-র ছাত্র হিসেবে গণ্য হবেন। পরে কেন্দ্র নতুন ডিরেক্টর নিয়োগ করবে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর: বেসু-র রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র প্রথম পাঁচ বছরে বরাদ্দ করবে ৫৯২ কোটি টাকা। পরে দরকার মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন, পরিচালন ও গবেষণাখাতে কেন্দ্রীয় অনুদান মিলবে। সংশ্লিষ্ট ক্যাবিনেট নোটের দাবি: এনআইটি আইনের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে যেমন জাতীয় স্তরের উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে
তোলা যাবে, তেমন স্বশাসনের অধিকারবলে আইআইইএসটি-কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
বেসু-কে জাতীয় মর্যাদাদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত অবশ্য দু’বছর আগেই হয়ে গিয়েছিল। তার রূপায়ণে দেরি হতে থাকায় সম্প্রতি বেসু-র উপাচার্য অজয়কুমার রায়কে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী পল্লম রাজুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হস্তক্ষেপও দাবি করেন দীপা। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, প্রশাসনিক জটিলতার নিষ্পত্তি করতেই সময় লেগে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মালদহে ‘গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (জিকেসিআইইটি) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পরে বেসু সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এক শীর্ষ সারির মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আজ বলেন, “এতেই পরিষ্কার যে, কেন্দ্র এখনও স্থবির হয়ে পড়েনি। বরং গ্রামোন্নয়ন থেকে শুরু করে শিক্ষার বিকাশ মনমোহন সরকার সব ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করছে।” |