বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমনে বিল আজ |
বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমনে তাঁদের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারির পদ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিল আনছে তৃণমূল সরকার। বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি এক জন রাষ্ট্রমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন হবেন। পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিদের ক্ষমতা হবে ওই মন্ত্রীদের ক্ষমতার সমান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই মন্ত্রীরা যে ভাবে কাজ করেন, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিরাও তা-ই করবেন। মন্ত্রীরা যে সব ভাতা ও সরকারি গাড়ি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিরাও সেগুলি পাবেন। পদে বসার আগে মন্ত্রীদের মতোই তাঁদের শপথও নিতে হবে। স্বাধীনতার আগে ওই পদ থাকলেও তার পরে ওই পদে কাউকে বসানো হয়নি। বিধানসভা বিশেষজ্ঞ দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ইংরেজ আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সংখ্যা কম ছিল বলে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে ওই পদ তৈরি হয়। কিন্তু ১৯৫২ সালে প্রথম নির্বাচনের পর থেকে কার্যত ওই পদ উঠে যায়। দিলীপবাবু বলেন, “এখন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর হয়ে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য প্রতি দফতরে প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। তাই ওই পদের দরকার নেই। অহেতুক কয়েক কোটি টাকা সরকারি খরচ বাড়বে।” সরকারি মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “১৯৫২ সালে নতুন সংবিধান হলেও পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি পদ লোপ পায়নি।” প্রত্যেক পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিকে মন্ত্রীদের মতোই ঘর দিতে হবে।
|
বিধানসভায় হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে একটি মন্তব্যের জন্য আরএসপি নেতা সুভাষ নস্করকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় হিংসাত্মক ঘটনার পরে একটি টিভি চ্যানলে সুভাষবাবু পার্থবাবুর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ বলার অভিযোগ আনেন। ‘মিথ্যা’ শব্দটি অসংসদীয়। বুধবার পার্থবাবু জানান, ওই শব্দ ব্যবহারের জন্য সুভাষবাবুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা হয়েছে।
|
পরিষদীয় রীতির ফাঁসে বিধানসভায় আটকে থাকল রবিশঙ্করের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। রীতি অনুযায়ী, শেষকৃত্যের আগে বিধানসভায় কারও নামে শোকপ্রস্তাব আনা হয় না। কিন্তু প্রয়াণ সংবাদ উল্লেখ করা যায়। তাও করা হয়নি। শাসক দলেরই একাংশের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান রবিশঙ্কর গ্রহণ করতে না-আসাতেই কি বিধানসভায় তাঁর মৃত্যুসংবাদ এ দিন উল্লেখ করা হল না? |