ডাককর্মীদের ডাকা ধর্মঘটকে ঘিরে বুধবার সাময়িক উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়া সদর ডাকঘরে। ওই আন্দোলন সমর্থন না করা ডাককর্মীরা এ দিন অফিসে ঢুকতে চাইলে দরজার বাইরে অবস্থানরত ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সঙ্গে তাঁদের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে পুলিসের উপস্থিতিতে মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে তালা খোলার পরে কাজে ইচ্ছুক কর্মীরা ভিতরে ঢোকেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ফেডারেশনের আওতাভুক্ত ‘পোস্টাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি’-র পুরুলিয়া শাখা বুধবার এক দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর সঙ্কোচন ও বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, বেকার ছেলেমেয়েদের স্বার্থে শূন্যপদে নিয়োগ, নয়া পেনশন প্রকল্প বাতিল-সহ নানা দাবিতে ছিল এ দিনের ধর্মঘট। সংগঠনের সহ সম্পাদক নারায়ণ মাহাতোর দাবি, “বেশিরভাগ কর্মীই ধর্মঘটের পক্ষে। অন্য বারের মতই আমরা মেন গেটে অবস্থান করছিলাম। পরে তালা খুলে ওই কর্মীরা তাঁরা ভিতরে ঢুকেছেন।” অন্য দিকে, ‘ন্যাশন্যাল ইউনিয়ন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ’-এর পক্ষে অজয় মাহাতোর বক্তব্য, “ধর্মঘট করার অধিকার সকলেরই রয়েছে. কিন্তু যাঁরা কাজ করতে চান তাঁদের বাধা দেওয়া হবে কেন? কাজ করতে ইচ্ছুক কর্মীরা ঢুকতে বাধা পেয়েছিলেন বলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হয়।” পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিৎ দেবনাথ বলেন, “ডাককর্মীদের একটি সংগঠনের ধর্মঘটকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা জনিত সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডাক বিভাগের সুপার প্রশাসনকে জানানোর পরে সেখানে গিয়ে তালা খোলা হয়। আর কোনও সমস্যা হয়নি।” আন্দোলনকারীদের অবশ্য দাবি, তাঁদের ধর্মঘট সফল হয়েছে।
|
শীতের অকাল বৃষ্টির মধ্যে বাজ পড়ে দুই কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হল শিবু মাহাতো (১৬), অনুজ সাউ (১৪) ও কাইদ আনসারি (২১)। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাজ পড়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। শিবু ঝালদা থানা এলাকার সারম্ব গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় কুটিডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। স্কুল ছুটির পরে মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি নামলে সে একটি গাছের নীচে আশ্রয় নেয়। তখনই বাজ পড়লে সে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই ঝালদায় মারা যায় অনুজ। তার বাড়ি রাঁচির ইন্দ্রপুরীতে। সে বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে ঝালদায় এসেছিল। বিকেলের দিকে ঝালদার উপকন্ঠে বাণসা পাহাড় দেখতে বেরিয়েছিল ওই কিশোর। অনুজের দাদা সুরজ সাউ জানিয়েছেন, পাহাড় দেখে ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। রাস্তায় কিছু ছেলে গরু চরাচ্ছিল। তারাই দেখে, বাজ পড়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েছে অনুজ। ওই ছেলেগুলির কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়ির লোক স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনুজকে নিয়ে যান। ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার ধুরহি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় নির্মাণকর্মী কাইদ আনসারি কাজ করছিলেন পুরুলিয়া সদর থানার কসাই মহল্লায়। বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
কোতুলপুর ব্লকের জলিঠা গ্রামের মোড় থেকে ডান্নে গ্রাম পৌঁছানোর মোরাম রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, গোপীনাথপুর, লেগো ও কোতুলপুর এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রশাসন তা সত্ত্বেও রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগী নয়। তাঁদের অভিযোগ কোতুলপুর ব্লক অফিসে এ নিয়ে বার বার দাবি জানানো হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কোতুলপুরের বিডিও শাশ্বত দাশগুপ্ত বলেন, “ওই রাস্তাটির খারাপ অবস্থার কথা শুনেছি।” তাঁর আশ্বাস, শীঘ্রই ওই রাস্তা সংস্কার করা হবে।”
|
ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে এক মোটরবাইক আরোহীকে কুপিয়ে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বাইকআরোহী সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের লাঘাটায়।
|
বিধানসভার অভ্যন্তরে দলীয় বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রমের নিগ্রহের প্রতিবাদে পথে নামল সিপিএম। বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ বলেন, “যা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ। এতে সংসদীয় গণতন্ত্রই কলঙ্কিত হয়েছে।” |