|
|
|
|
বছরভর অপেক্ষা করেও বিকল ট্রান্সফর্মার পেল জগন্নাথডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে এক বছর আগে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। খুঁটিতে তার খাটানো হয়, তারও কয়েক মাস পরে। মাস দুয়েক আগে ট্রান্সফর্মারও লাগানো হয়। কিন্তু ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ায় আজও বিজলি বাতি জ্বলল না রঘুনাথপুর ১ ব্লকের জগন্নাথডি গ্রামে।
অবিলম্বে ওই বিকল ট্রান্সফর্মার সরিয়ে নতুন ট্রান্সফর্মার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দাবিতে গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ দফতরের রঘুনাথপুর গ্রুপ সাপ্লাই কার্যালয়ে গণস্বাক্ষর করা স্মারকলিপি জমা দেন। ওই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজের দায়িত্বে থাকা গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতর অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, শীঘ্রই নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হবে। বেড়ো পঞ্চায়েতের জগন্নাথডি গ্রামে মূলত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজার। বাসিন্দারা জানান, আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে কবেই বিদ্যুৎ এসেছে। কিন্তু এই গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। বাসিন্দারা জানান, প্রয়োজনীয় বিধি মেনে আবেদন করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে এক বছর আগে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় ওই গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মীর, গৌরব মাণ্ডি, শেখ ইস্তাক, সীতারাম মাহালিরা বলেন, “খুঁটি পোঁতা থেকে ধাপে ধাপে গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। ট্রান্সফর্মার বসানোর পরে আশা জেগেছিল অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। কিন্তু বিকল ট্রান্সফর্মার দেওয়ায় বিদ্যুৎ আর আসেনি। মাস দুয়েক কেটে গেলেও নতুন ট্রান্সফর্মারটিও দেওয়া হল না।” তাঁদের অভিযোগ, ট্রান্সফর্মারটি দেওয়ার আগে তা যাচাই করা উচিত ছিল। বিকল ট্রান্সফর্মারটি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর পরেই তাঁরা স্মারকলিপি দেন।
রঘুনাথপুর গ্রুপ সাপ্লাই কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতর থেকে জগন্নাথডি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ করা হয়েছে। ফলে ওই ট্রান্সফর্মারটি বদলে দেওয়ার কাজ তাদেরই করার কথা। ওই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে আমরা ওই গ্রামে গিয়ে ট্রান্সফর্মারটি পরীক্ষা করে দেখি। কাজ শুরু করার আগেই ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দ্রুত বিস্তারিত রিপোর্ট গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতরে পাঠাচ্ছি।” তাঁরা গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতরকে ফোন করে জগন্নাথডির সমস্যা জানিয়েছেন।
গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন দফতরের পুরুলিয়ার সহকারী বাস্তুকার স্বপন গুপ্ত-র স্বীকারোক্তি, “ট্রান্সফর্মারের সমস্যার জন্যই ওখানে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। রঘুনাথপুরে গ্রুপ সাপ্লাই অফিস থেকে লিখিত রিপোর্ট পেলেই ট্রান্সফর্মারটি বদলানোর ব্যবস্থা হবে।” |
|
|
|
|
|