|
|
|
|
গরহাজিরায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি |
পুঞ্চার স্কুল-সম্পাদক, ওসিকে ধরে আনার নির্দেশ এসপি’কে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা ও কলকাতা |
আদালত অবমাননার দায়ে পুঞ্চা থানার ওসিকে একটি স্কুলের সম্পাদককে গ্রেফতার করে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওসি সম্পাদককে গ্রেফতার করে আনেননি। নিজেও হাইকোর্টে আসেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি অশোক দাস অধিকারীর এ বার নির্দেশ, ওই ওসি এবং স্কুল-সম্পাদককে গ্রেফতার করে ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে তাঁদের হাজির করাবেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নিজে।
পুঞ্চা থানার গোপালপুর গ্রামের স্বামী জ্ঞানানন্দ বিদ্যাপীঠে করণিক পদের জন্য ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ইন্টারভিউ হয়েছিল। পুরুলিয়া কর্মসংস্থান কেন্দ্র থেকে ২০ জন এবং হাইকোর্টের নির্দেশে আরও দু’জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গোপালপুর গ্রামের যুবক রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ওই প্যানেলে তাঁর নাম প্রথমে থাকা সত্ত্বেও তিনি নিয়োগপত্র পাননি। ২০০৮ সালে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১১ সালের ২ নভেম্বর পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে একটি প্যানেল সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিচালন সমিতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ওই প্যানেলেও তাঁর নামই প্রথমে ছিল রামকুমারবাবুর দাবি। ইতিমধ্যে পরিচালন সমিতির ক্ষমতার বদল ঘটে। সম্পাদক হন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, তৃণমূলের প্রণব মুখোপাধ্যায়। রামকুমারবাবুর অভিযোগ, “এ বছর ১৯ অক্টোবর প্রণববাবু হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে পর দিনই আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। ২০ তারিখও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় আমি প্রণববাবুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করি।”
২০ নভেম্বর আদালত পুঞ্চার ওসিকে নির্দেশ দেয়, ৫ ডিসেম্বর প্রণববাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে হবে। রামকুমারবাবুর অভিযোগ, ৩০ নভেম্বর ওসিকে হাইকোর্টের নির্দেশের কথা জানানোর পরেও ওসি তা পালন করেননি। ৫ তারিখ ওই দু’জন তাঁর এজলাসে হাজিরা না দেওয়ায় বিচারপতি পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন, ওসি এবং স্কুল-সম্পাদককে ধরে আদালতের সামনে পেশ করতে হবে। পাশাপাশি রামকুমারবাবুকে নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য বিচারপতি নির্দেশ দেন স্বামী জ্ঞানানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক দেবীপ্রসাদ চক্রবর্তীকে। সম্প্রতি গোপালপুর গ্রামে বাড়িতে গিয়ে প্রণববাবুর দেখা মেলেনি। তাঁর স্ত্রী বলেন, “উনি কোথায় জানি না।” বারবার ফোন করেও প্রণববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দেবীপ্রসাদবাবুর দাবি, “করণিক নিয়োগ নিয়ে আদালতের কোনও নির্দেশ পাইনি।” জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকরও বলেন, “হাইকোর্ট থেকে এ ধরনের কোনও নির্দেশ পাইনি। নির্দেশ এলে অবশ্যই পালন করা হবে।” পুঞ্চার ওসি অজিত মিশ্র অবশ্য এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পুলিশ সূত্রে যানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশ পুলিশ সুপারের কাছে যায়। সেখান থেকেই সংশ্লিষ্ট থানায় তা কার্যকর করতে বলা হয়। |
|
|
|
|
|