দুই আইনজীবীকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জঙ্গিপুরের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি শুরু করলেন আইনজীবীরা। এর জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশো বিচারপ্রার্থী। সরকারি আইনজীবী অশোক সাহা বলেন, “আইনজীবীদের অনুপস্থিতির দরুন এ দিন বিচারকরা এলেও আদালতে কোনও কাজকর্ম হয়নি। ফিরে যেতে হয়েছে বহু বিচারপ্রার্থীকে। বার অ্যাসোসিয়েশনের এই কর্মবিরতিতে সরকারি আইনজীবীরাও কাজ করতে পারেননি।” বিচারপ্রার্থী আজিজুল হক বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে আমার এক আত্মীয়ের নামে চলতে থাকা মামলার এ দিন ছিল সাক্ষী গ্রহণের দিন। শীতের মধ্যেও সাক্ষীরা হাজির হয়ে ফিরে যান।”
বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মুরশেদ জাহাঙ্গির বলেন, “মঙ্গলবার রাতে বারের সভাপতি ও এক আইনজীবী বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের বাইকে দু’জন জখম হয়। এর ফলে এলাকার লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। পুলিশে নালিশ করা হয়েছে। দোষীরা ধরা না পড়া পর্যন্ত চলবে কমবিরতি।”
বার অ্যাসোসিয়েশনের সেই সভাপতি রেজাবুল হুদা বলেন, “এ দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় আমাদের বাইকে দু’জনের ধাক্কা লাগলে গ্রামবাসীরা আমাদের মারধর করে টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ দোষীদের ধরছে না। উলটে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।” এই অভিযোগ নস্যাৎ করে সাগরদিঘি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের সামসুল হুদা বলেন, “তাঁদের বাইকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ করতেই গ্রামবাসীদের মারধর করেন। এ নিয়ে গ্রামেরই এক মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছেন। গ্রামবাসীরা সব জানিয়ে ওই আইনজীবীদের শাস্তির দাবিতে গণ স্বাক্ষর দেবে বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে।” জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “তদন্ত চলছে। কর্মবিরতিতে মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।” |