|
|
|
|
ধৃত তিন প্রতারক, মিলল জাল নোট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার সময় প্রচুর জাল নোট পেল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চণ্ডীপুরের মগরাজপুর গ্রাম থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভরত মণ্ডল, সৌমেন মণ্ডল ও রঞ্জন বর্মন। তাদের কাছ থেকে আসল ও জাল নোট মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা ও দু’টি নম্বরবিহীন চোরাই মোটর বাইক পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের বুধবার তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভূপতিনগর থানার নারায়ণদাড়ির বাসিন্দা ভরত ও সৌমেন সম্পর্কে ভগ্নিপতি-শ্যালক। রঞ্জনের বাড়ি মগরাজপুর গ্রামে। এরা চণ্ডীপুর ও ভূপতিনগর থানার সীমানায় নারায়ণদাড়ি গ্রামে প্রতারণার চক্র বিছিয়েছিল। দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসে সাধারণ গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা তুলত এরা। |
|
আদালতের পথে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
অনেক সময় কম দামে সোনা-সহ নানা জিনিসপত্র বিক্রি করার টোপ দেখিয়ে লোকজনকে টেনে আনত। এরপর পুলিশ সেজে ওই লোকজনদের কাছ থেকে টাকা কেড়ে তাড়িয়ে দিত দুষ্কৃতীরা। প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত হওয়ার অনেক অভিযোগই জমা পড়েছিল ভূপতিনগর ও ভগবানপুর থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণা চক্রের পান্ডা ভরতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এক ব্যবসায়ীকে লোভ দেখিয়ে রঞ্জনের মগরাজপুরের বাড়িতে ডেকেছিল ভরত-সৌমেন। খবর পেয়ে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ বাহিনী সেখানে গিয়ে ভরত, সৌমেন ও রঞ্জনকে গ্রেফতার করে। পিন্টু বর্মণ ও সৌমেন মণ্ডল নামে তাদের দুই সঙ্গী অবশ্য পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছে প্রচুর জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। প্রতারণার পাশাপাশি জাল নোটের ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। |
|
|
|
|
|