অভিযুক্ত তৃণমূল
কেশপুরে হুমকি সিপিএম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের
ঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি এবং কর্মাধ্যক্ষদের শাসানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল কেশপুর। মঙ্গলবার কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিবেদিতা মাইতি কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে এক বৈঠক ডেকেছিলেন। অভিযোগ, বৈঠক শুরুর আগে কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী সভাপতি এবং কর্মাধ্যক্ষদের হুমকি দেন। বলেন, কর্মাধ্যক্ষদের আর অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। রাস্তাঘাটে কিছু হলে তার দায় কে নেবে! বুধবারও এক কর্মাধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে যে সব কাজ চলছে, তাকে ব্যাহত করতেই এই হুমকি।” মঙ্গলবারের ঘটনার পর সভাপতি এবং কর্মাধ্যক্ষরা কেশপুরের বিডিও মহম্মদ জামিল আখতারের সঙ্গে দেখা করেন। মৌখিক অভিযোগ জানান। বিডিও বলেন, “ওঁরা ওঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, “সামান্য কিছু হয়ে থাকতে পারে। তবে হুমকি বা শাসানোর ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাইয়ের বক্তব্য, “কাউকে শাসানো হয়নি। দলের কয়েক জন ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।” চিত্তবাবুর অভিযোগ, “কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্তদের একাংশ ফের এলাকায় ফিরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। কর্মাধ্যক্ষরা রোজ ব্লক অফিসে এসে জটলা করবেন কেন? আগে তো আসতেন না? আসলে শলা-পরামর্শ করে ফের অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।”
এক সময় কেশপুর ছিল ‘লালদুর্গ’। রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি পাল্টায়। পুরো এলাকাই এখন তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। পালাবদলের পর কয়েকমাস এখানে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয়েছে। কঙ্কাল-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর এলাকা ছাড়েন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তড়িৎ খাটুয়া। সভাপতি না থাকায় গ্রামোন্নয়নের কাজে বিঘ্ন দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে গত বছরের নভেম্বরে সহ-সভাপতি নিবেদিতা মাইতিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই কেশপুর স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার উদ্যোগ শুরু হয়। ক’দিন আগে কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্ধ্যা রায়ের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যাদেবীর বাড়ি আনন্দপুর থানার সাতডুবিতে। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ, রাতের বেলায় তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থক আচমকাই তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর-লুঠপাট করে। মঙ্গলবারের ঘটনা তাই নতুন করে কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এক কর্মাধ্যক্ষের বক্তব্য, “বিডিওর কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.