পর পর ছ’টা বারো! আর এর জেরে জন্মেই রেকর্ড করে ফেলল একরত্তি মেয়ে। ১২ ডিসেম্বর, ২০১২ সালের দুপুর ১২টা বেজে ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে তার জন্ম। মা-বাবা তো বটেই, ওটি জুড়েও তখন খুশির হাওয়া। শহরের এক নার্সিংহোমে এই জন্মবৃত্তান্ত অবশ্য নিছক প্রকৃতির খেলা নয়। রীতিমতো পরিকল্পনা করে সন্তানকে এই সময়ে পৃথিবীর আলো দেখানো হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ১২/১২ তারিখের বুকিং ছিল কয়েক মাস আগে থেকে। চিকিৎসকেরা জানান, প্রায় প্রতি বছরেই জন্মাষ্টমী ও ২৫ ডিসেম্বর দিন দু’টিকে সন্তান জন্মের দিন হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু ১২/১২/১২ প্রায় সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ দিন পার্ক স্ট্রিটের এক নার্সিংহোমে জন্ম নেয় ১২টি শিশু, আলিপুরের এক নার্সিংহোমে ১৫টি, মধ্য কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ১৪টি, বাইপাসের হাসপাতালে ১৫টি। সবগুলিতেই অন্য দিন গড়ে ৬-৭টি শিশুর জন্ম হয়।
কেন এমন গুরুত্ব এই দিনের? কেউ কেউ বলছেন, নিছক মনে রাখার সুবিধা ছাড়া আর কোনও তাৎপর্য নেই। কারও মতে, সংখ্যার এমন চমক ফের আসবে ৮৯ বছর পরে। তাই এই হিড়িক। চিকিৎসকেরা তো সরাসরিই বলছেন, এটা স্রেফ হুজুগ।
আলিপুরের এক নার্সিংহোমে দুপুর ১২টা বেজে ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে জন্মেছে হাসপাতালেরই ফিজিওথেরাপিস্ট তহমিনা ইসলামের কন্যা। তাঁর চিকিৎসক রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “দুপুর ১২টায় অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। তহমিনার অনুরোধেই আমরা সময়টা কয়েক মিনিট পিছিয়ে দিই।” তবে আগাম পরিকল্পনা করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে, এমন নজিরও কম নয়। স্ত্রীরোগ চিকিৎসক গৌতম খাস্তগীর বললেন, “আমার কাছে অনেকেই এই দিনটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনের আজ সিজার হয়েছে। দু’জন জানান, আজ অমাবস্যা, বুকিংয়ের সময়ে এটা তাঁদের খেয়াল ছিল না। পরে তারা বুকিং বাতিল করেন।” |