দীর্ঘ দিন ঝিমিয়ে থাকার পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল শিল্পোৎপাদন। হয় সরাসরি উৎপাদন কমা, না হয়তো নামমাত্র বৃদ্ধি, ১৬ মাসের এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এক ধাক্কায় অক্টোবরে শিল্পোৎপাদন বাড়ল ৮.২ শতাংশ। ২০১১-র জুনের ৯.৫ শতাংশের পর যা সর্বোচ্চ।
অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম অবশ্য এই বৃদ্ধিকে যথেষ্ট তৃপ্তির কারণ হিসেবে মন্তব্য করেও বলেছেন, “এক মাঘে শীত যায় না। ঘুরে দাঁড়ানোর সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কিন্তু দেখা যাক, বাকি চার মাসে আমরা কতটা এগোতে পারি।”
মূলত কারখানার উৎপাদন ৯.৬ শতাংশ হারে বাড়ার কারণেই শিল্পোৎপাদন এতটা বেড়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। গত বছর একই সময়ে কারখানার উৎপাদন সরাসরি সঙ্কুচিত হয়েছিল ৬ শতাংশ। শিল্প বৃদ্ধির সূচক হিসাবে কারখানার উৎপাদনের গুরুত্ব ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি বেড়েছে বিদ্যুৎ, মূলধনী পণ্য ও ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন। |
সেপ্টেম্বরে উৎপাদন সরাসরি কমে যায় ০.৭ শতাংশ। সেখান থেকে এই ঘুরে দাঁড়ানোটা অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলোর রেখা বলেই মনে করছে শিল্পমহল। এমনকী বুধবার সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অর্গানাইজেশন প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান কিন্তু রয়টার্সের এক সমীক্ষার আগাম পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ওই পূর্বাভাস ছিল ৪.৫ শতাংশ। যদিও তাদের আশঙ্কা এর ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগামী ১৮ ডিসেম্বর তার ঋণনীতি ফিরে দেখতে গিয়ে সুদ কমানোর পথে না-ও হাঁটতে পারে। কারণ সাধারণত শিল্পকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যেই সুদ কমায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই আশঙ্কা জানিয়েই বণিকসভা সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আগের বছরের কম হারের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে বলেই এ বারের হার এত বেশি। তবে জানুয়ারি ২০১৩ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত সুদ কমাতে শুরু করা। কারণ, এই মুহূর্তে ভারতেই সারা বিশ্বে সুদের হার সবচেয়ে বেশি।” |