|
|
|
|
|
|
|
|
• আমার বয়স ২২। কম্পিউটার নিয়ে বিএসসি পড়েছি। গত বছর থেকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করছি। বেতন ৫,০০০ টাকা। বাড়িতে বাবা-মা আছেন। তবে সংসার খরচ সে ভাবে দিতে হয় না আমাকে। নিজের খরচ ৩,০০০ টাকা। এই অবস্থায় এখন থেকেই টাকা জমাতে চাই আমি। সে ব্যাপারে এবং স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে যদি পরামর্শ দেন, তা হলে উপকৃত হব।
আশিস চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা
শুনে ভাল লাগল যে, এখন থেকেই আপনি সঞ্চয়ের চিন্তা-ভাবনা করছেন। তবে যেহেতু আপনার বয়স বেশি নয়, তাই এই মুহূর্তে জীবন বিমার তেমন প্রয়োজন নেই। বরং এখন থেকেই যদি কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে লগ্নি করতে পারেন, তা হলে আগামী দিনে সঞ্চয় বাড়াতে তা কাজে আসবে। আপনার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখে বলা যায় এই সময়ে আপনার হাতে সঞ্চয় করার জন্য তিন থেকে চারটি রাস্তা রয়েছে।
১) কোনও ডাইভার্সিফায়েড ইক্যুইটি ফান্ডে এসআইপি শুরু করতে পারেন।
২) এখন থেকেই একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে ন্যূনতম অর্থ সেখানে জমা করতে পারেন।
৩) ব্যাঙ্কে রেকারিং ডিপোজিট শুরু করে দিতে
পারেন।
এ বার আসি স্বাস্থ্য বিমার প্রসঙ্গে। আপনি এখনই একটি ২ লক্ষ টাকার বিমা করিয়ে রাখুন (ক্রিটিকাল ইলনেস রাইডার সমেত)। বয়স কম হওয়ার কারণে আপনি যদি কয়েক বছর এই বিমা চালিয়ে যেতে পারেন, তা হলে বোনাস পাবেন। আবার পরে বেতন বাড়লে কভারেজও বাড়িয়ে
নিতে পারেন।
আপনি সবেমাত্র কেরিয়ার শুরু করেছেন। তাই আগামী দিনে বেতন বাড়বে ধরেই নেওয়া যায়। ফলে প্রয়োজন বুঝে বিভিন্ন খাতে লগ্নি বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে আপনার সামনে। পরবর্তী কালে দায়িত্ব বাড়লে জীবন বিমাও করিয়ে নিতে পারবেন।
• আমার বয়স ৪৫ এবং স্বামীর ৪৬। এক ছেলে। বয়স ২০। আমার শ্বশুরের বয়স ৮০ বছর। আমার স্বামী তাঁর একমাত্র ছেলে। নাকতলায়
৪ কাঠা ৫ ছটাক জমির উপর আমাদের বাড়ি। জমিটা বড় রাস্তার উপর। কলোনির জমি। প্রথমে সেখানে আমার দিদিশ্বাশুড়ি থাকতেন। উনি মারা গিয়েছেন অনেক বছর। তাঁর ৫ ছেলে এবং ৩ মেয়ে। তিন মেয়েই বিবাহিত। দিদিশ্বাশুড়ির মৃত্যুর পর ওই জমি নাগরিক কমিটির নিয়ম মেনে আমার শ্বশুর ও তাঁর দুই ভাইয়ের (মোট ৩ জন) নামে রেজিস্ট্রি হয়। ওই দুই ভাইয়ের মধ্যে আমার শ্বশুর বাদে বাকি দুই ভাই অবিবাহিত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। এখন জমিটি প্রোমোটারের হাতে দেওয়ার কথা চলছে। আমার প্রশ্ন হল
আমাদের পরিবার ছাড়া কি আর কেউ ওই জমি দেওয়ার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন?
কর্পোরেশন থেকে প্ল্যান স্যাংশন হওয়ার
আগেই যদি শ্বশুরের কিছু হয়, সে ক্ষেত্রে
কী করা উচিত?
অদিতি গুহ, নাকতলা
প্রশ্ন পড়ে মনে হচ্ছে আপনার দিদিশ্বাশুড়ি অন্য জায়গা থেকে এসে ওই স্থানে থাকতে শুরু করেন। তার পর এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল ওই জমিগুলির দলিল বণ্টনের নির্দেশ দেন। তত দিনে আপনার দিদিশ্বাশুড়ি গত হয়েছেন। আপনার শ্বশুর ও তাঁর দুই ভাই তখন সেই বাড়িতে থাকতেন। তাই তাঁদের তিন জনের নামেই জমি বণ্টন করে দলিল তৈরি হয়। কলোনির জমির নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, দলিল দান করার পর ১০ বছর ওই জমি হস্তান্তর করা যায় না। সম্ভবত আপনার জমির ক্ষেত্রে ওই সময়সীমা পার হয়েছে। তাই সেটি প্রোমোটারের হাতে তুলে দেওয়ার বা হস্তান্তরের কথা ভাবছেন।
আপনি বলেছেন, আপনার শ্বশুররা ৫ ভাই এবং ৩ বোন। কিন্তু ওই দলিলে তিন জনের নাম আছে। অর্থাৎ ওই জমিতে তিন জনের মালিকানা স্বীকৃত রয়েছে। বাকি দুই ভাই ও তিন বোনের মালিকানা স্বীকৃত নয়। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী, শ্বশুর ছাড়া মালিকানা থাকা বাকি দুই ভাই অবিবাহিত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। যদি ধরে নিই যে, ওই জমিতে প্রত্যেকের এক তৃতীয়াংশ মালিকানা রয়েছে, তা হলে মৃত দুই ভাইয়ের মোট দুই তৃতীয়াংশ মালিকানা আপনার শ্বশুর-সহ বাকি দুই ভাই এবং তিন বোনের উপর বর্তাবে। অর্থাৎ ওই দুই তৃতীয়াংশের মোট পাঁচ ভাগ হবে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, ওই পাঁচ জনের মধ্যে কেউ বেঁচে না-থাকলে, জমির অংশ তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম পাবে। প্রোমোটারকে জমি দিতে হলে তখন সবার সই লাগবে।
প্ল্যান স্যাংশনের আগে শ্বশুরের কিছু হলে আপনার শ্বাশুড়ি এবং স্বামী উত্তরাধিকার সূত্রে সেই অংশ পাবেন। তখন বাকিদের সঙ্গে তাঁরা দু’জনেই সই করতে পারবেন। জমির আইনি বিষয় সব সময়েই নানা জটিলতায় ভরা। তাই আরও বিশদে জানতে অবশ্যই পরিচিত আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলুন। |
|
|
|
|
|