|
|
|
|
ওই দরাজ গান, কানে বাজে মোহন সিংহের |
অরুণ মুখোপাধ্যায় • শান্তিনিকেতন |
গান গাইছেন রবিশঙ্কর, মুগ্ধ হয়ে শুনছেন সকলে। বুধবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মোহনসিংহ খাঙ্গুরার কথায় বার বার ফিরে আসছিল সেই গান শোনার অভিজ্ঞতার কথা। সেই গান এখনও কানে বাজে তাঁর। বলছিলেন, “সেতারবাদক হিসাবে গোটা বিশ্বে বিখ্যাত হলেও অসম্ভব দরাজ গলায় গান গাইতেন রবিশঙ্কর।”
১৯৮১ সালে মোহনসিংহের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় রবিশঙ্করের। মোহনসিংহ সে সময়ে সঙ্গীতভবনের ওয়ার্কশপে রবিশঙ্করের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গেয়েছিলেন। এর পর দু’জনের মধ্যে নিবিড় সখ্য গড়ে ওঠে। রবিশঙ্করের এক ভাইপো ভূদেবশঙ্কর থাকেন শান্তিনিকেতনের এন্ড্রুজ পল্লিতে। শান্তিনিকেতনে এলে সেখানেই উঠতেন তিনি। যুক্ত হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের এক বিখ্যাত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও। ওই সংস্থার এক কর্ণধার প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মাসি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল রবিশঙ্করের।
১৯৯৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীতে পাঠভবনের গ্রন্থাগারের বারান্দায় মেয়ে অনুষ্কার সঙ্গে সেতার বাজিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। অনুষ্কার সেই প্রথম মঞ্চ-অনুষ্ঠান। পর দিন সঙ্গীতভবনের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রবিশঙ্কর বিশেষ ওয়ার্কশপ করেন। প্রিয়মবাবু জানান, কলকাতায় ফিরে যাওয়ার আগে রবিশঙ্কর কণিকাদেবীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি যান। প্রিয়মবাবুর কথায়, “উনি বাড়িতে ঢুকেই ‘কেমন আছ মোহর’ বলে মাসিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। নানা কথার পর বলেছিলেন, ‘এ বার তা হলে আসি।’ মাসি উত্তরে বলেন, আবার দেখা হবে। রবিশঙ্কর জবাব দিয়েছিলেন, হয় এখানে, না হয় ওখানে। ডান হাতের তর্জনী আকাশের দিকে তুলেছিলেন তিনি। |
|
|
|
|
|