|
|
|
|
দক্ষিণাকালী পুজো ঘিরে উন্মাদনা রামপুরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
কোথাও তিনি মা ‘বাবলাকালী’, কোথাও বা দক্ষিণাকালী নামে পরিচিত। অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা তিথিতে রামপুরহাটে এই দুই নামে কালীপুজো দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। স্বাভাবিক ভাবে এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় উন্মাদনা দিনদিন বাড়ছে। এ বছরও সেই উৎসাহে ভাটা পড়েনি। রামপুরহাট হাসপাতাল সংলগ্ন বাবলাকালীর মাতার পুজো কবে হবে তা জানতে পুজো কমিটির কাছে দীর্ঘদিন আগে থেকে খোঁজখবর শুরু করে দেন দূরদূরান্তের বহু ভক্ত। এমনিতে নিজস্ব পাকা মন্দিরে মঙ্গল ও শনিবার বাবলাকালী মায়ের পুজো হতে থাকে। তবে তাই অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা তিথিতে রাতভর কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে বাবলাকালীতলায়। সে জন্য পুজো কমিটির উদ্যোগে মন্দির চত্বরে বিশাল ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়, থাকে আলোর ব্যবস্থা ও পুলিশি নিরাপত্তা।
এই পুজোকে ঘিরে পুতুল, বেলুন-সহ নানা রকমের পসরা নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে, রামপুরহাট লোটাস প্রেস মোড়ে উত্তরায়ণ ক্লাব ও কামারপট্টি যুবকবৃন্দের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা দেয় দক্ষিণাকালী মায়ের পুজোকে ঘিরে। তা নিয়ে রামপুরহাট মহকুমা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহলও থাকে। এ বার কামারপট্টি যুবকবৃন্দের পরিচালনায় দক্ষিণাকালী পুজোর জৌলুস খুব একটা নেই। মন্দির সংস্কার করা হচ্ছে বলেই জাঁকজমকের ছোঁয়া নেই কামারপট্টি যুবকবৃন্দের মধ্যে। কিন্তু উত্তরায়ণের পরিচালনায় দক্ষিণাকালী মাতার পুজোয় এ বারও চন্দননগরের আলোকসজ্জা নিয়ে হাজির উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অরূপ চট্টোপাধ্যায়, রণজয় বর্মন, সঞ্জয় বর্মন বলেন, “এ বারের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ লোটাস প্রেস গলিতে আলোর মাধ্যমে কঙ্কাল কীর্তন।” পাশাপাশি শহরে মিতালী সঙ্ঘের পাকা মন্দিরে, শ্রীফলাতেও দক্ষিণাকালী মায়ের পুজো ঘিরে উন্মাদনাও চোখে পড়ার মতো। |
|
|
|
|
|