স্বামীর বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করলেন এক বধূ। মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকার ওই বধূ স্বামীর গ্যারাজের এক কর্মীর বিরুদ্ধেও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের কাছে সাকিলা বিবি নামে ওই বধূ অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী আনসুর শেখের গাড়ি সারানোর গ্যারাজের পাশাপাশি সোনার মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা ছিল। তবে এই ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি প্রতারিত হন। তাতে তাঁর বাজারে দেনা হয়। টাকার প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা করছিলেন আনসুর। এ নিয়ে ছোট ছেলে শেখ মহম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য শুরু হয়। বাড়ি বিক্রি রুখতে দলিল পর্যন্ত লুকিয়ে রাখেন মন্তেশ্বর তৈয়বা ইনস্টিটিউশনের কম্পিউটরের শিক্ষক ইব্রাহিম। সাকিলা বিবি অভিযোগ করেন, ২৪ নভেম্বর সকালে অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ফোন করে ছোট ছেলেকে ডেকে পাঠান আনসুর। ইব্রাহিম তাঁর দাদার মেয়ে রিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাবার গ্যারাজে যান। তার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
ওই বধূ পুলিশকে জানান, রিয়ার কাছ থেকে তাঁরা জেনেছেন, গ্যারাজে ছোট ছেলেকে রড দিয়ে মারধর করেন আনসুর ও তাঁর গ্যারাজের কর্মী জালিম শেখ। পর দিন গ্যারাজে গিয়ে আনসুর ও জালিমকে মোবিল দিয়ে রক্তের দাগ তুলতে দেখা গিয়েছে বলে সাকিলা বিবির দাবি। স্বামী ও তাঁর গ্যারাজের কর্মী ছেলেকে খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী বধূ ৮ ডিসেম্বর ডাকযোগে পুলিশ সুপার ও মন্তেশ্বর থানার ওসি অভিযোগপত্র পাঠান। সেটি পেয়ে পর দিন পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। ১০ ডিসেম্বর তাঁদের কালনা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বুধবার বলেন, “মৃতদেহের খোঁজ মিললে ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে। আপাতত অপহরণের মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে।” |