চিকিৎসার অভাবে উদ্বিগ্ন দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত ১১ বছরের এক কিশোরী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীর নাম অর্পিতা ঘোষ। ‘সেরিব্রাল পালসি’ রোগে আক্রান্ত ওই কিশোরীর শীর্ণকায় চেহারা। উচ্চতা বড় জোর দু-ফুট। বাকশক্তিহীন অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়ে বাড়িতে পড়ে ধুঁকছে সে। ওই একই রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’বছর আগে কিশোরীর দাদা ১৮ বছরের রিপনের মৃত্যু হয়। বাবা রণজিত ঘোষের গ্রামে ঘুরে মিষ্টি বেচে সামান্য রোজগার সংসার চলে না। তিনি বলেন, “তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলেটাই সুস্থ। সে শিলিগুড়ির একটি চা বাগানে চা পাতা মাপার কাজ করে। মেজ ছেলে ওই রোগে মারা গিয়েছে। ছোট মেয়েরও একই অবস্থা সব জায়গায় ঘুরেও কোনও সহায়তা পাইনি।” রোগাক্রান্ত কিশোরী অর্পিতার জন্ম ২০০২ সালের ৩১ মার্চ। |
মা ঝর্ণাদেবী বলেন, “জন্মের ৮ দিনের মাথায় মেয়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হয় তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শরীরের বাড়বৃদ্ধি হয়নি। সব সময় ঝিমিয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখানো হলে জানানো হয়। মেয়ে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মন্ডল বলেন, “মারাত্মক জন্ডিস রোগের ফলে মস্তিষ্কে রোগ সংক্রমণ থেকে সেরিব্রাল পালসি হতে পারে। প্রি-ম্যাচিওর শিশুদের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। কিশোরীটিকে রি-হ্যাবিলেটেশন সেন্টারে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু জেলায় ওই কেন্দ্র নেই হাসপাতালের বহির্বিভাগে আনা হলে রোগীকে দেখে কি করণীয় বলা যেতে পারে।” বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “পরিবারটিকে কি ভাবে সহায়তা করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।” |