‘ওভারহেড’ জলাধারের পাইপের ‘ভালভ’ কেউ আটকে দেওয়ায় জল সরবরাহ ব্যহত হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। রবিবার সকাল থেকে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন হাসপাতালের শল্য বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ-সহ একাধিক ওয়ার্ডের রোগীরা। জলের অভাবে শৌচাগারে যেতে সমস্যায় পড়ে তাঁদের পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে পূর্ত বিভাগ এবং জন স্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা গিয়ে সমস্যা মেটালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মাস দু’য়েক আগেও হাসপাতালে পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়ে পড়ে। তা নিয়ে পূর্ত দফতর এবং জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর একে অপরের উপর দায় চাপিয়েছিল। বারবার একই সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের সুপার প্রদীপ সরকার মাস চারেক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদে রয়েছেন জেলার কুষ্ঠ চিকিৎসার আধিকারিক মুকুল রায়। তিনি বলেন, “পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা গুরুতর। পূর্ত বিভাগ এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আগেও দেখতে বলা হয়েছে। অথচ তারা ঠিক মতো না দেখায় সমস্যা বেড়েছে।”
পূর্ত দফতর অবশ্য আগের মতো জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ওপর দায় চাপিয়েছে। পূর্ত বিভাগের সহকারি বাস্তুকার সুভাষ দাস বলেন, “জলাধার থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে জল সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। জলাধারে জল পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর দেখে থাকে।” জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিরন্ময় সরকার জানান, হাসপাতালের ছাদের ওপর থাকা ওভারহেড জলাধার থেকে শল্য বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, নিচ তলার কয়েকটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ হয়। কেন এ দিন সকাল থেকে জল সরবরাহ হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানা যায় পাইপ লাইনে ‘ভালব’ কেউ বন্ধ করে দিয়েছিল। তা খুলে দিয়ে সমস্যা মেটান হয়েছে।
কিন্তু ছাদের জলাধারের কাছে পাইপ লাইনে ভালব রয়েছে। ছাদের দরজা তালা বন্ধ থাকে। তালা খুলে পাইপ লাইনের ‘ভালভ’ কে আটকেছে বা কেন আটকেছে তা অবশ্য ধোঁয়াশা। |