আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) চালু করার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। রবিবার সাত সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল রায়গঞ্জ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তাঁরা নবনির্মিত এসএনসিইউ ইউনিটও ঘুরে দেখেন। বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে লাগিয়ে এসএনসিইউ ইউনিটটি চালু করার নির্দেশ দেন। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী শীঘ্রই (এসএনসিইউ) ইউনিটটি চালু করা হবে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচে প্রায় তিন মাস আগে হাসপাতালের দোতলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের পাশে এসএনসিইউ ইউনিটটি গড়ে তোলার কাজ শেষ হয়। ওই ইউনিটে সদ্যোজাতদের জন্য ১২ টি শয্যা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই ওই ইউনিটে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য পৃথকভাবে এসএনসিইউ বিশেষজ্ঞ ৯ জন চিকিৎসক এবং ১২ জন নার্সকে নিয়োগ করার সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এখন পর্যন্ত মাত্র ২ জন এসএনসিইউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে প্রায় তিন মাস আগে এসএনসিইউ ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হলেও তা চালু করতে পারছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে বর্তমানে ৮ জন সাধারণ শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আপাতত ৫ জন চিকিৎসক এবং ২ জন এসএনসিইউ বিশেষজ্ঞকে কাজে লাগিয়ে ইউনিটটি চালু করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া হাসপাতালের সাধারণ নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসএনসিইউ ইউনিটে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সুপার বলেন, “সাড়ে তিনশো বেডের হাসপাতালে বর্তমানে ৩৮ জন চিকিৎসক, ১০১ জন নার্স ও ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। সেই সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। গড়ে অন্তত ২০ জন করে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। সে আর্জি জানিয়েছি।”
এদিন হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীকল্যাণ সমিতির দুই সদস্য অরিন্দম সরকার ও দিলীপ দাস প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে অবিলম্বে হাসপাতালে মানসিক ওয়ার্ড ও আইসিইউ চালু করার দাবি জানান। |
