রঞ্জি ট্রফিতে যেন একই ভূত তাড়া করছে বাংলাকে। ফের সেই ব্যাটিং বিপর্যয়। ফের শেষ লগ্নে দাঁতে দাঁত চেপে ম্যাচ বাঁচানোর মরিয়া লড়াই। নকআউটের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকছে মনোজ তিওয়ারিদের সামনে।
৩৯ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে ব্রেবোর্নে তিনশোর কমে আটকে রেখেও কোনও লাভ হল না। মনোজদের পকেটে এল না তিন পয়েন্ট। তাঁরা নিজেরাই তো ২০১ রানে শেষ। রঞ্জিতে এই মরসুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ওপেনার অরিন্দম দাসের ‘ক্যারিং দ্য ব্যাট থ্রু’ করে সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে অপরাজিত (৯৮ নটআউট) থাকার গৌরবটুকু বাদ দিলে বাংলার ব্যাটিং-আকাশে শুধুই কালো মেঘ। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত করার পর ম্যাচের বাকি দু’দিনে ঘরের মাঠে সরাসরি জয়ের চেষ্টায় দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও পড়েছে মুম্বই। হাতে দশ উইকেট নিয়ে ওয়াসিম জাফররা এখনই এগিয়ে ১০২ রানে।
পেসারদের সাহায্য করা ছাড়াও ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনারদের বাউন্সও জোগাচ্ছে। মুম্বইয়ের বাঁ-হাতি স্পিনার অঙ্কিত চহ্বাণ এ দিন সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তুলে নেন মনোজ (৩৯), শুভময় দাস (১৯), লক্ষ্মীরতন শুক্ল (২) এবং বীরপ্রতাপ সিংহকে (২)। তা-ও মনোজ, শুভময় এবং ঋদ্ধিমান সাহার এক বার করে ক্যাচ ফস্কান মুম্বই ফিল্ডাররা। না হলে বাংলা আরও কম রানে গুটিয়ে যেত। এবং এর পরেও না কি সরাসরি জেতার কথা ভাবছে বাংলা শিবির! মুম্বইয়ে ফোন করে জানা গেল, দিনের খেলার শেষে কোচ ডব্লিউ ভি রামন তাঁর ক্রিকেটারদের বলেছেন, “প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ঝাঁপিয়ে পড়ো। সরাসরি জয়ের সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে আমাদের।”
রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় (৯) অযথা রান আউট হন। ঋদ্ধিমান নো বলে বোল্ড হয়ে বাঁচার পরই শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সারাক্ষণ আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে বোলিং করে মুম্বই নিয়মিত উইকেট তুলেছে।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বই ২৯৭ ও ৬-০।
বাংলা ২০১ (অরিন্দম ৯৮, মনোজ ৩৯, অঙ্কিত ৪-৬১)। |