প্রয়াগ ইউনাইটেড-২ (র্যান্টি, শঙ্কর)
মুম্বইএফসি-৩ (ইভামস, অভিষেক, ইয়াকুবু) |
চার্চিলের কাছে হারের পুরো দায় ফুটবলারদের কাঁধে চাপিয়েছিলেন প্রয়াগের ডাচ কোচ এলকো সাটোরি। রবিবাসরীয় যুবভারতীতে মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হেরে এলকোর স্বীকারোক্তি, “মোরিনহো এলেও এই দল নিয়ে কিছুই করতে পারবে না।”
অথচ ইনজুরি টাইমে শঙ্কর ওঁরাওয়ের অসাধারণ হেডে ২-২ করেছিল প্রয়াগ। কিন্তু তার পরেও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লালকমল, গৌরমাঙ্গী এবং গোলকিপার ঈশান দেবনাথের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের সুযোগ নিয়ে গোল-সন্ধানী ইয়াকুবু ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে ৩-২ করে তাঁর পুরনো ক্লাবের কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতেন।
ম্যাচ শেষে যখন তৃপ্তির হাসি প্রয়াগের প্রাক্তন ঘানাইয়ান স্ট্রাইকারের মুখে, তখন প্রয়াগ ফুটবলারদের আফসোস, “কোচের কোনও স্ট্র্যাটেজি আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। কোচ কী চাইছেন আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।”
সঞ্জয় সেনকে সরিয়ে বিদেশি কোচ আনার পরে দলের পরপর হারের ধাক্কায় এমনিতেই চাপে প্রয়াগ কর্তারা। তার ওপর এলকোর এ ধরনের মন্তব্য তাঁদের আরও অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা নবাব ভট্টাচার্য বললেন, “হারের হতাশা থেকেই এ ধরনের কথা বলে ফেলেছেন কোচ।” |
আসলে এলকো চাইছেন লালকমল, রফিকদের দিয়ে রবেন, ফান ডার ফার্টদের স্টাইলে ফুটবল খেলাতে। রাতারাতি গৌরমাঙ্গীদের গা থেকে ভারতীয় ফুটবলের জ্যাকেট খোলাতে গিয়ে নিজের দলকে বিপদে ফেলছেন প্রয়াগের ডাচ কোচ। ইয়াকুবুদের বিরুদ্ধে তিন বার ফর্মেশন পরিবর্তন করলেন প্রয়াগ কোচ। প্রথমার্ধে ৪-৪-১-১ ছকে শুরু করে সাফল্য পেয়েছিলেন। ২৯ মিনিটে আসিফের ক্রস থেকে ডাবল কভারিং ভেদ করে গোল করেন র্যান্টি। কিন্তু বিরতির পর প্রয়াগের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে নিকোলাসের পাস থেকে ইভামস ১-১ করতেই জেমসের পরিবর্তে রফিককে নামিয়ে ৪-৩-১-২ ফর্মেশনে চলে যান এলকো। যে ছকে আদৌ সুবিধা করতে পারেনি তাঁর দল। বরং ৮১ মিনিটে মাঠে নেমেই নিকোলাসের কর্নারে প্রথম ছোঁয়াতেই অভিষেক যাদব জালে বল জড়ান। মুম্বই এগিয়ে যেতেই এ বার ধনচন্দ্রকে তুলে শঙ্কর ওঁরাওকে নামিয়ে ৪-৩-৩-এ চলে যান এলকো। রবেনরাও এত ঘনঘন পরিবর্তনশীল ছকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারতেন কিনা সন্দেহ!
প্রয়াগ: ঈশান, চিন্তা, ধনচন্দ্র (শঙ্কর), বেলো, লালকমল, র্যান্টি, জেমস (রফিক), কার্লোস, গৌরমাঙ্গী, আসিফ, বিনীত (লেস্টার)। |