|
|
|
|
ফড়েদের বিরুদ্ধে |
এফআইআর, কড়া বার্তা খাদ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শালবনি |
চাষির স্বার্থে প্রয়োজনে ফড়েদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার পিরাকাটায় পশ্চিম মেদিনীপুরে সরকারি ভাবে ধান কেনার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মন্ত্রী বলেন, “এমন একজন চাষিও থাকবেন না, যাঁর ধান সরকার কিনবে না। কেউ অন্যত্র ধান বিক্রির জন্য প্রভাবতি করলে অভিযোগ করুন। তার বিরুদ্ধে এফআইআর করব। যাতে সারাদিন ধান বিক্রি করা যায়, সে জন্য স্থায়ী শিবির তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।”
স্থায়ী রেশন দোকানও বানাচ্ছে সরকার। পরীক্ষামূলক জঙ্গলমহলের তিন জেলার ২৩টি ব্লকে এই রেশন দোকান তৈরি হবে। খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, “জঙ্গলমহলের তিনটি জেলায় মোট ৬৮টি স্থায়ী রেশন দোকানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে হবে ২৯টি। সাফল্য মিললে রাজ্য জুড়েই তা করা হবে।” প্রথম ধাপের ২৯টির মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৭টি, পুরুলিয়ায় ৮টি ও বাঁকুড়ায় ৪টি দোকান তৈরি করা হবে। এ জন্য জমি দেখার কাজ শেষ। কিছু ক্ষেত্রে দোকান তৈরির ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। দোকান তৈরির পর সেগুলি রেশন ডিলারদের দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই সুযোগ পাবেন স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা। তারপর সমবায় সমিতি। একদম শেষে পার্টনারশিপ ও প্রোপরাইটার। |
|
পিড়াকাটায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ দিন শালবনি ব্লকের পিরাকাটায় শিবির করে ধান কেনা হয়। জেলায় এটাই প্রথম শিবির। সেখানে উপস্থিত খাদ্যমন্ত্রী জানান, ২০-২৫ দিন পর ফের তিনি জঙ্গলমহলে আসবেন এবং দু’দিন এলাকায় থেকে দেখবেন প্রকৃত চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে কিনা। ধান কিনতে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে খাদ্য দফতর। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে ধান রাখার ক্ষেত্রে। মন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যে মাত্র ৬ হাজার ৭০০টি গুদাম রয়েছে। তাতে কিছুই হবে না।” এ ক্ষেত্রে গুদাম ভাড়া নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। স্থায়ী গুদাম তৈরির উপরেও জোর দিচ্ছে সরকার। মন্ত্রী জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল রাখার উপযোগী গুদাম তৈরি করা হবে। রাজ্যে এ রকম গুদাম তৈরির জন্য ৩৮০ কোটি টাকা খরচ হবে। ব্যয় বরাদ্দ হবে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে।
রাজ্যবাসীর কথা ভেবেই এ বার থেকে বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর ব্যাখ্যা, বাংলাদেশে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাল রফতানি করা হত। আর রাজ্যের রেশন দোকানগুলোর জন্য বছরে লাগত ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। জঙ্গলমহলে বিশেষ প্রকল্পের জন্য আরও ৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য লাগছে। মন্ত্রীর কথায়, “আগে নিজেদের প্রয়োজনীয় চাল রাজ্যে রাখতে হবে। তারপর উদ্বৃত্ত হলে রফতানি করা হবে।” |
|
|
|
|
|