হুগলি-চুঁচুড়া
নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল বহু এলাকায়, ক্ষোভ পুরবাসীর
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার বহু এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। নালাগুলিতে জমছে পানা আর আগাছা। তার ফলে, মাঝেমধ্যেই নর্দমা ছাপিয়ে নোংরা জল চলে আসছে রাস্তায়। লোকজনকে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নিশ্চিন্তে বংশ বিস্তার করছে মশা। তা সত্ত্বে পুরসভার কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের।
যে যে এলাকার নিকাশি নালার এই হাল, তার মধ্যে রয়েছে প্রতাপগড়, আনন্দপল্লি, স্টেডিয়াম সংলগ্ন গড়, পাঙ্কাটুলি মোড়, কৈলাসনগর, ব্যান্ডেল স্টেশন রোড, সুভাষনগর, গাঁধী কলোনি, মিলিটারি কলোনি, ঝাঁপপুকুর এলাকা, ইঞ্জিনিয়ার বাগান। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, কালেভদ্রে নালা পরিষ্কার করা হয়। অনেক সময়েই নালার জল উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পুরসভা মাঝেমধ্যে মশা নিরোধক ওষুধ ছড়ালেও কাজের কাজ কিছু হয় না। বর্ষায় রাস্তায় হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়।
শহরের বিভিন্ন নিকাশি নালার জল তালডাঙার কাছে জিটি রোডের ধারের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু নিকাশি নালার পাশাপাশি নয়ানজুলিটিও সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। তা ভরে গিয়েছে কচুরিপানায়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দূষিত নয়ানজুলিটির জন্য পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। সাপ আর পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ছে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের কমল দাসের অভিযোগ, “পুর এলাকার বহু জায়গাতেই নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমাদের আমলে পুরবোর্ড নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে যে পরিকল্পনা করেছিল, বর্তমান বোর্ড তার বাস্তবায়ন ঘটাতে ব্যর্থ। যে সব ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে নিকাশি সংক্রান্ত কমিটি গড়া হয়েছিল, তাঁদের দিয়ে এখন অন্য কাজ করানো হচ্ছে।”
এমন অভিযোগ মানেনি তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। তবে, নিকাশি নিয়ে সমস্যার কথা তারা মেনে নিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে শহরের ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য মোট ২৫০ জন সাফাইকর্মী কাজ করেন। তবে, নিকাশি ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর পরে সর্বদল বৈঠক করে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি নিকাশি ব্যবস্থা তদারকি করে। আগের বোর্ড আদপেই সঠিক পরিকল্পনা করতে পারেনি। বরং ওদের ঘাটতি অনেকটাই মেটানো গিয়েছে।”
পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্পেক্টর হিমাংশু চক্রবর্তী বলেন, “নিকাশি ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বড় নালাগুলির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এইগুলি সংস্কার করতে যে সকল যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তা পুরসভার নিজস্ব না থাকায় ভাড়া করতে হবে। আগামী জানুয়ারী মাস থেকে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নতুন করে নিকাশির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.