|
|
|
|
সিঙ্গুরে কর্মীদের আটক করল পুলিশ, ক্ষোভ লিবারেশনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
বাম জমানার পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে দিন (২ ডিসেম্বর) ‘সিঙ্গুর দিবস’ পালন করছে তৃণমূলের নেতৃত্বাধীন কৃষিজমি রক্ষা কমিটি, সে দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের আচরণে প্রশ্ন উঠল! সেই সিঙ্গুরেই!
সিঙ্গুরের গোপালনগরের ঘোষপাড়া থেকে রবিবার ৬ জন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওই দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তপন বটব্যাল, জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “সিঙ্গুর কি এমন কোনও জায়গা, যেখানে সাধারণ মানুষ যেতে পারবেন না? যদি তা-ই হয়, তা হলে সরকার সেটা ঘোষণা করুক! আসলে সিঙ্গুরে জনসমর্থন হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। এটা তারই প্রতিক্রিয়া।” হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী জানান, গ্রাম থেকে পুলিশ ফোন পেয়েছিল, কিছু অচেনা লোক গ্রামে ঘোরাফেরা করছেন। সেই কারণেই ওঁদের থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। লিবারেশনের দাবি, তাদের কর্মীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
সিঙ্গুরে কারখানার দাবিতে এ দিন কংগ্রেসের তরফে সাতমন্দিরতলায় পথসভা করা হয়। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক ভাগ করা চলবে না। অনিচ্ছুকদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।” অনেকে আছেন, যাঁরা কলকাতায় চাকরি করেন অথচ তালিকায় নাম রয়েছে। এই সব অস্পষ্টতা মেটাতে হবে। পাশাপাশিই মান্নানের বক্তব্য, “মন্ত্রগুপ্তি নিয়ে যাঁরা (বেচারাম মান্না) আদালতের বিরুদ্ধে ও সব কথা বলেন, তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। ৫ ডিসেম্বর টাটাদের জমিতে কারখানার দাবিতে চুঁচুড়ায় সমাবেশ করব।” |
|
|
|
|
|