|
|
|
|
ডিমা হাসাও |
স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত জেলা পরিষদের বর্তমান কার্যকালের মেয়াদ ফুরোচ্ছে ৭ ডিসেম্বর। কিন্তু এখনও নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। ঘটনা হল, এক দিকে স্বশাসিত পরিষদকে ডিমা হাসাও আঞ্চলিক পরিষদে উন্নীত করে জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। অন্য দিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচিত স্বশাসিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এই অবস্থায় পরিষদের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পরিষদের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ে ভুগলেও এই বিষয়ে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ আপাতত ভিন্ন অবস্থানে। ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং এএসডিসি জেলাশাসকের অফিসের সামনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ধর্না দিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বনানী কেমপ্রাই এবং এএসডিসি-র জেলা সভাপতি রথীন্দ্র থাওসেন জানান, চুক্তিকে আইনে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টিতে সংসদের অনুমোদন জরুরি। এত দিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ রাখলে তাতে সাধারণ নাগরিকরা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
কংগ্রেস অবশ্য নির্বাচনের পক্ষে নয়। তবে এ সময়ে কী করা উচিত তা নিয়ে এই শাসক দলটিতে মতভেদ রয়েছে। মুখ্য কার্যবাহী সদস্য দেবজিৎ থাওসেন তাঁর পারিষদদের নিয়ে সভা করে বর্তমান পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের উপজাতি কল্যাণ দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ বীরেন সিংহ ইংতি-ও একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন বিভাগীয় মন্ত্রী খরসিংহ ইংতিকে। কিন্তু জেলার একমাত্র বিধায়ক কংগ্রেস নেতা গোবিন্দচন্দ্র লাংথাসার দাবি, পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে বর্তমান পরিষদকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়াই উচিত।
রাজ্য সরকার অবশ্য এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি এখনও। তবে তারা নির্বাচন শাখাকে পরিষদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুসারে ২২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তবে আঞ্চলিক পরিষদ বা এর আগে আর-এক দফা স্বশাসিত পরিষদনির্বাচন ঘোষণা হলে সদ্য ভেঙে দেওয়া ডিএইচডি (জে) নেতারা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা তাঁরা জানিয়ে রেখেছেন। দিন কয়েক আগে ডিএইচডি (ডি) আনুষ্ঠানিক ভাবে ভেঙে দেন সংগঠনটির প্রধান জুয়েল গারলোসা। পরে গঠন করা হয় ডিএইচডি (জে) ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এর উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন জুয়েল। জুয়েল অবশ্য তাঁর দীর্ঘদিনের প্রধান সঙ্গী নিরঞ্জন হোজাইকে সভাপতি করেছেন। পাশাপাশি সম্পাদক করা হয়েছে ফাইপ্রাং ডিমাসাকে । |
|
|
|
|
|